দেবশ্রী চৌধুরী। —ফাইল চিত্র
নামেই গাঁধী সংকল্প যাত্রা। বিজেপির ওই কর্মসূচির লক্ষ্য হয়ে উঠল উপলক্ষ। কার্যত রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে দেখতেই বাসিন্দাদের ভিড় ভেঙে পড়ল রাস্তায়।
তবে সেই ভিড় থেকেও দাবি উঠল, মন্ত্রীকে এখন থেকে নিয়মিত নিজের কেন্দ্রে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির গাঁধী সংকল্প যাত্রায় যোগ দেন দেবশ্রী। আর প্রতিটি এলাকাতেই এই ভিড়ের সঙ্গে একই দাবি শোনা গিয়েছে। দেবশ্রীর নিজে অবশ্য জানান, এ দিন দলের সংকল্প যাত্রায় হাজার হাজার বাসিন্দা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভিড় করেছিলেন। এই যাত্রা থেকেই এ রাজ্যে স্বচ্ছ রাজ্য সরকার গড়ার শপথ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কেন্দ্রে বেশি করে থাকার স্থানীয় দাবি প্রসঙ্গে দেবশ্রীর ব্যক্তিগত সচিব অসীম চন্দ বলেন, ‘‘দিদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে সারা দেশের জন্য কাজ করতে হয়। পাশাপাশি, তিনি দলের রাজ্য নেতৃত্বের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে নিয়মিত রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে থাকা সম্ভব হয় না। রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয় থেকে নিয়মিত বাসিন্দাদেরকে সাংসদের শংসাপত্র দেওয়া ও চিকিৎসার অনুদানের সুপারিশ হয়।’’ এ দিন সকালে কালিয়াগঞ্জের ফতেপুর এলাকা থেকে সংকল্প যাত্রা শুরু করেন দেবশ্রী। ওই যাত্রা ফতেপুর থেকে শুরু হয়ে শঙ্করপুর হয়ে গোবিন্দপুরে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা চলাকালীন প্রায় আট কিলোমিটার ওই রাস্তায় দেবশ্রীকে দেখার জন্য বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ কাকলি দেবশর্মা, মালা বর্মণ-সহ অনেকেই মন্ত্রীকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে তাঁকে নিয়মিত রায়গঞ্জ কেন্দ্রে থেকে তাঁদের বিপদ-আপদ ও সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন।
বিকেলে কালিয়াগঞ্জের ধনকল মোড় থেকে বাঘন বটতলি এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তায় সংকল্প যাত্রা হয়। ধনকলমোড় থেকে নেতাজি সুভাষ রোড, বিবেকানন্দ মোড়, বাঘন ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওই যাত্রায় পায়ে পা মেলান দেবশ্রী। সেইসব এলাকাতেও দেবশ্রীকে দেখতে বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। তার জেরে রাজ্য সড়কে সাময়িক যানজটও তৈরি হয়। বাঘন এলাকার বাসিন্দা আনাজ ব্যবসায়ী ভোলানাথ মণ্ডল, ভ্যানচালক মনি বর্মণ, গৃহবধূ সান্তনা সরকার জানালেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার জন্যই এ দিন কালিয়াগঞ্জের নানা এলাকায় ঘুরেছেন তাঁরা।
মে মাসে দেবশ্রী প্রথমে রায়গঞ্জের সাংসদ ও পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময় দিল্লি কিংবা কলকাতায় থাকছেন। দেবশ্রীর নির্দেশে দল গত অগস্টে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকায় ফ্ল্যাটবাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে স্থায়ী আস্তানা ও কার্যালয় তৈরি হয়। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy