পরিচালন সমিতিতে পদ পেতেই চন্দনা চক্রবর্তীর সংস্থা নর্থ বেঙ্গল পিপলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন জুহি চৌধুরী৷ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে এমনই দাবি করলেন সরকারি আইনজীবী৷
শিশু পাচার কাণ্ডে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি চন্দনাকে গ্রেফতার করে৷ তার দশ দিন পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি নেপাল সীমান্ত লাগোয়া খড়িবাড়ির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জুহিকে৷ বারো দিন সিআইডির হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি৷ জলপাইগুড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে একাধিকবার জুহির জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর জেলা ও দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী৷ শুক্রবার জেলা ও দায়রা আদালতেও খারিজ হল জামিনের আবেদন৷ দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর জলপাইগুড়ির জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জুহির জামিনের আবেদন খারিজ করেন।
এ দিন মামলার শুনানি শুরু হতেই জুহির আইনজীবী অখিল বিশ্বাস দাবি করেন, যে এফআইআরের ভিত্তিতে জুহিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটাকে কখনই এফআইআর বলা যায় না৷ আদালতে অখিলবাবুর যুক্তি, ‘‘গত জানুয়ারি মাসে দত্তকে অনিয়ম সম্পর্কে প্রথম তথ্য পায় সিআইডি৷ অথচ, এফআইআর না করে সেটাকে চেপে রাখে তারা৷ তারপরেই এক দিন মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তী জুহির কাছে যায়৷’’ আইনজীবীর প্রশ্ন, তাহলে কী কারও নির্দেশে চন্দনা জুহির কাছে গিয়েছিলেন? অখিলবাবু আদালতে দাবি করেন, যে সময় অপরাধ-অনিয়ম হয়েছিল তখন জুহি চন্দনাকে চিনতেনই না৷
তবে জলপাইগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল অবশ্য আদালতে দাবি করেন, ‘‘জুহি এই অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত৷ তিনি নিয়মিত লভ্যাংশও পেতেন৷ ইতিমধ্যেই যার তথ্য প্রমাণ মিলেছে৷’’ এরপরেই সোমনাথবাবু দাবি করেন আরও বেশি লাভের জন্য জুহি চন্দনার সংস্থার পরিচালন কমিটির একটি পদ পেতেও চেয়েছিল৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy