—ফাইল চিত্র।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হয়েছে প্রচার। তার পর থেকেই ভোটের দিনের পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছেন সব দলের নেতা ও প্রার্থীরা। কেউ পার্টি অফিসে, কেউ হোটেলের ঘরে কেউ আবার বাড়িতে বসেই ঘন ঘন সভা করলেন। টেলিফোনে খোঁজ নিলেন পোলিং এজেন্টদের। শনিবার দিনভর এ ভাবেই কাটালেন দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থীরা।
দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিতেই লোকসভা ভোট হয়েছে পাহাড়ে। তবে উপনির্বাচনের প্রচারে মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ ওঠায় এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর-সহ নানা ঘটনার পরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আটোসাঁটো করেছে কমিশন। দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথেই রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়তি নজরদারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের যৌথ টহলদারি চলবে বিভিন্ন এলাকায়।
উপনির্বাচনের ডিসিআরসি করা হয়েছিল ভানুভবনে। সকাল থেকেই সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ইভিএম মেশিন, ভিভিপ্যাট নিয়ে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে রওনা দেন ভোটকর্মীরা। উপনির্বাচনে মোট ৩২১টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র আছে বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক।
এ দিন দার্জিলিং শহর, বিজনবাড়ি, সুকিয়াপোখরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে শান্তিতে ভোটদানের বার্তা দিয়েছেন সব দলের নেতাই। এ দিন দার্জিলিঙের একটি হোটেলে নিজের দল ও তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে যৌথভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেন বিনয় তামাং।
বিনয়পন্থী মোর্চা সূত্রে খবর, ভোটের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও নেতাকে এলাকা ছেড়ে না আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিনয় বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক ভোটারকে আবেদন করেছি সকাল সকাল ভোট দিতে। নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনও সমস্যা হলে দ্রুত তা দলকে জানাতে হবে। শান্তিতেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশাবাদী আমরা।’’
কোথাও সমস্যা হলে প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ বা অভিযোগ করার জন্য বিনয়পন্থী মোর্চা দার্জিলিং শহরে একটি দলকে প্রস্তুত রাখছে বলেই সূত্রের খবর।
ভোটের দিন সর্বত্র নজরদারিতে কার্যত কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে বিজেপি জোট। সেখানে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জন্য দু’জন করে কর্মীকে রাখা হয়েছে। তাঁদের ফোন নম্বরও দিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতাদের কাছে। দার্জিলিং শহর, শিলিগুড়ি, কলকাতা ও দিল্লিতেও উপনির্বাচনে বাড়তি নজরদারির জন্য লোক থাকবে বলেই জানিয়েছেন বিজেপি জোটের নেতারা।
বিজেপি জোটের নেতাদের বক্তব্য, কোথাও কোনও সমস্যা হলে যাতে দ্রুত সব খবর সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয় এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়, তার জন্যই দিল্লি পর্যন্ত দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন তাঁরা। জোট প্রার্থী নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘মানুষ ভোট দিতে প্রস্তুত। তবে কোথাও কোথাও তাদের আটকানোর চেষ্টা হতে পারে। আমরা প্রতিটি বুথেই নজর রাখব। নেতাদের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, রবিবার দার্জিলিংয়ে মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে বহু ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেই ভোটারদের সুবিধার্থে ছাউনি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy