—ফাইল চিত্র।
শেষ কয়েক মাসে উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে অনেক অাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। রাজনৈতিক গোলমালে মুড়ি-মুড়কির মতো ফেটেছে বোমা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অস্ত্রের উৎস খুঁজতে এনআইএ-র একটি বিশেষ দল কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গে ঢুকেছে।
এনআইএ-র একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উৎস খোঁজার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহের পিছনে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে বিশেষ দল। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক কোন্দলের সুযোগে সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বড় কোনও পরিকল্পনা সফল করতে চাইছে কি না, সেই আশঙ্কা নিয়েও তদন্ত করবে এনআইএ। এমনটাই জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিল্লির এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের আশঙ্কা উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে অস্ত্র বিক্রির রাস্তা বেছে নিয়েছে। সেই কাজের কেএলও-র কয়েকজন লিঙ্কম্যানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে অস্ত্র কারবারের পিছনে জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বরোল্যান্ড (এনডিএফবি) ছাড়াও মণিপুরের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (জিএনএলএ) থাকতে পারে। অসমের চিরাং, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নেপালের বীরগঞ্জকে ঘাঁটি বানিয়ে অস্ত্রের কারবার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে এনআইএ-র আধিকারিকরা।
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের গোয়েন্দা শাখার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রয়েছে।’’ সূত্রের খবর, কোচবিহারের দিনহাটায় অস্ত্রের রমরমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছে বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের কর্তারা। এনআইএ সূত্রের খবর, অস্ত্র ব্যবসায় সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা তৈরি করেছে দফতর। সেই তালিকায় আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ, মালদার বামনগোলা, কোচবিহারের গীতলদহ, ভেটাগুড়ি ও শীতলখুচি, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর এবং নিম্ন অসমের কোকরাঝাড়ের বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। সন্দেহভাজনদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু করেছে তদন্তকারীরা। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy