Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বারান্দায় সদ্যোজাত রেখে উধাও মহিলা

সদ্যোজাত এক শিশুকে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য হাজির হয়েছিলেন গ্রামেরই চল্লিশোর্ধ্ব সুমিতা আহেরি নামে এক মহিলা। তিনি শিশুটির নাম পরিচয় জানাতে না পাড়ায় সন্দেহ হয় ওই কেন্দ্রের কর্মীদের।

বিহ্বল: সুমিতার কোলে শিশু। নিজস্ব চিত্র

বিহ্বল: সুমিতার কোলে শিশু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২৮
Share: Save:

সদ্যোজাত এক শিশুকে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য হাজির হয়েছিলেন গ্রামেরই চল্লিশোর্ধ্ব সুমিতা আহেরি নামে এক মহিলা। তিনি শিশুটির নাম পরিচয় জানাতে না পাড়ায় সন্দেহ হয় ওই কেন্দ্রের কর্মীদের। তার পরেই পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা গিয়ে উদ্ধার করে শিশুটিকে। শুক্রবার দুপুরে পুরাতন মালদহের ঝাড়পুকুর গ্রামে এই ঘটনার পরে কোথা থেকে ওই শিশুটিকে তাঁরা পেয়েছেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম সুমিতা আহেরি। তাঁর স্বামী দেবেন আহেরি পেশায় দিন মজুর। তাঁদের তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে।

আহেরি দম্পতির দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁদের বাড়িতে থাকতে চান। তাঁর সঙ্গেই ছিল একটি পাঁচ বছরের ও একটি চার দিনের শিশু। ওই বাচ্চাটি। পরে বারান্দায় শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যান ওই মহিলা। এই বক্তব্য সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে কোনও পাচার চক্র জড়িত কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।

ভাবুক গ্রামপঞ্চায়েতের এই ঝাড়পুকুর গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ গ্রামেরই এক অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে সদ্যোজাত এক শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান সুমিতাদেবী। ওই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মী শিশুটির নাম পরিচয় জানতে চাইলে, কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তারপরই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের কর্মী নীলিমা সরকার পুরো বিষয়টি পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানান। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করেন মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Newborn Mother Vanished
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE