এক সপ্তাহ আগে সম্ভ্রম বাঁচাতে বেসরকারি বাস থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোচবিহারে জখম হয়েছিলেন এক তরুণী। এই ঘটনার পর সংস্থার সুনাম বজায় রাখতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ডিভিশন্যাল ম্যানেজারদের যাত্রী সুরক্ষার ব্যাপারে জোর দিতে বলা হয়েছে। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওই ঘটনার পরে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরেই সবকটি ডিপোয় ওই বার্তা দেওয়া হয়।
সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবলচন্দ্র রায় বলেন, “নিগমের বাসে যাতে এমন কোনও অভিযোগ না ওঠে সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে।” সংস্থার পরিচালন বোর্ডের সদস্য আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “কখনও নিগমের কোনও বাসে মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে বলে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। ওই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে জোর দিচ্ছি। পরবর্তীতে বিভিন্ন কর্মী সংগঠনকে নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে আলোচনার কথাও ভাবছি।”
১৯৪৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের আমলে তিনটি বাস নিয়ে নিগমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সময় নাম ছিল কোচবিহার স্টেট ট্রান্সপোর্ট। যা পরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) নামে পরিচিত হয়। শহরের বিভিন্ন রুটের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও সংস্থার বাস পরিষেবা রয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারেও মহিলাদের আস্থা রয়েছে নিগমের বাসে। নিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গড়ে সাতশো বাস দৈনিক শতাধিক রুটে যাতায়াত করছে। কর্মীর সংখ্যাও প্রচুর। কোনও একজনের সামান্য ভুল বা ভুল বোঝাবুঝির খেসারত হিসেবে দীর্ঘদিনের সুনামে একটুকু কালি লাগুক সেটা আমরা কেউ চাই না।’’
নিগমের কর্মী সংগঠনগুলিও এ ব্যাপারে একসুর। ইনটাক প্রভাবিত নিগমের ওয়াকার্স ইউনিয়নের নেতা সুজিত সরকার জানান, নিগমের বাস নিরাপদ। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাংগঠনিকভাবে তাঁরা আবেদন করছেন। সিটুর এনবিএসটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত জানান, চালক বা কর্মীরা চান না কোনও যাত্রী সমস্যায় পড়ুন। তাও ওই ব্যাপারে সজাগ থাকতে বোঝানো হচ্ছে। আইএনটিটিইউসির নেতা প্রাণেশ ধরও জানান, যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy