কবিও: তিস্তা জলচুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করলে নিজের লেখা বই থেকে তিস্তা নিয়ে কবিতা পড়ে শোনাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইলেও তাঁর ওপর চাপ বাড়াতে তিস্তার জলবণ্টন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর ভরসা রাখার কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ।
রবিবার পাঁচ দিনের সফরে কোচবিহারের দিনহাটার পৈতৃক ভিটেয় আসেন তিনি। মোদীর উপরে ভরসার কথা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ বলেন, “মোদীজি ঢাকায় বক্তব্য রেখে বলেছিলেন ‘পবন, পানি আর পঞ্ছি’র বর্ডার নেই। এখন বুঝতে পারলাম পবন, পঞ্ছির বর্ডার নেই। পানির বর্ডার আছে। মোদীজি বলেছেন শেখ হাসিনার সরকার থাকতে থাকতে সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আশাবাদী।”
তিস্তার জলবণ্টন প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা বলার এক্তিয়ার নেই জানিয়ে এরশাদের সংযোজন, “মোদীজি কথা দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ জেতার পর ওঁর রাজনৈতিক শক্তি অনেক বেড়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যে প্রতিশ্রুতি উনি দিয়েছেন, তা রাখবেন।” একই সঙ্গে তিস্তার বিকল্প হিসবে তোর্সার জলবণ্টনের ব্যাপারে রাজ্যের বিকল্প প্রস্তাবও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। এরশাদ বলেন, “তোর্সা তো দু’দেশের সাধারণ নদী নয়। তিস্তা আমাদের দুই দেশ দিয়েই গিয়েছে। তিস্তার ব্যারেজও করেছি আমি।”
আজ, সোমবার কোচবিহারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবারও জেলায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ওই দিন কোচবিহার শহরে আসার কথা বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভবনা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। তিনি বলেন, “এখনও ঠিক হয়নি। যোগাযোগ করিনি।”
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথাও মনে করে দিয়েছেন এরশাদ। ওই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রয়েছে আমার। ওঁর বাড়িতেও গিয়েছিলাম। তিস্তার গান আমি ওঁকে পাঠিয়েছিলাম।” পরিবারের একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি। এরশাদের এক ভাইপো জ্যাকারিয়া হোসেন বলেন, “সাক্ষাতের বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে।”
সন্ধেয় এরশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বিষয়ে নয়।” ১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন এরশাদ। পরে রংপুর কলেজে ভর্তি হন। দেশভাগের জন্য ফেরা হয়নি দিনহাটার ‘পেয়ারাদা’ মহম্মদ এরশাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy