উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
‘‘দিদির পাশ থেকে সরে গেলে সাধারণ মানুষ সঙ্গে থাকবেন না’’— বুধবার রাতে ‘ফেসবুক লাইভে’ এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ কোচবিহার জেলার বিধায়ক। ইতিমধ্যেই এই জেলার এক প্রবীণ বিধায়ক মিহির গোস্বামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গুঞ্জন, ওই তালিকায় রাজ্যের শাসকদলের আরও বিধায়কের নাম থাকতে পারে। কিছু দিন আগে রবীন্দ্রনাথের নাম তুলেও জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। অবশ্য রবীন্দ্রনাথ আগেই জানিয়ে দেন, তিনি ‘বিষ খেয়ে মরে গেলেও’ বিজেপিতে যোগ দেবেন না।
এ দিন ফেসবুক লাইভে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দল তৈরি করেছেন। যাঁরা বেসুরো গাইছেন তাঁদের বলি— দিদি দল তৈরি করেছেন বলে আমরা নেতা-মন্ত্রী হয়েছি। না হলে কেউ পঞ্চায়েতেও যেতে পারতাম না।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা বেসুরো গাইছেন বা দল পরিবর্তন করছেন তাঁদের জনগণ এমন শাস্তি দেবেন পরে পস্তানোর জায়গা পাবেন না।’’
মন্ত্রী দাবি করেন, বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৪২টি পাবে। বাকি আসন কংগ্রেস-সিপিএম পাবে। বিজেপি শূন্য হাতে ফিরবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষকে প্রতারিত করছে। কখনও বলেছে, পাহাড়কে আলাদা রাজ্য করে দেওয়া হবে। কখনও বলে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দেবে। কখনও বলছে, নারায়ণী রেজিমেন্ট করে দেওয়া হবে। নির্বাচনের পরে তাঁদের কোনও কথার গুরুত্ব থাকে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী সম্প্রদায়কে সম্মান জানিয়ে নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের কথা ঘোষণা করেছেন। পাহাড়ে গোর্খা ব্যাটেলিয়নের
স্বীকৃতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তাই করেছেন। তাই মানুষ তাঁর সঙ্গেই থাকবেন।’’ দলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ নিয়ে অবশ্য সতর্ক মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে কোচবিহারে। এক কর্মী এ দিন মন্ত্রীর ফেসবুক লাইভে ‘কমেন্ট’ করেন, ‘‘আপনি ছাড়া কোচবিহার অচল?’’ মন্ত্রী বলেন, ‘‘কর্মীরা ছাড়া কোচবিহার অচল।’’
বিজেপি অবশ্য মন্ত্রীর কথা গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, ‘‘ভাল মানুষেরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন। রাজ্য জুড়েই সেই হিড়িক চলছে। সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে সরে গিয়েছেন। তাই মন্ত্রীর কথায় কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy