ধর্ষণের মামলায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশেষ ভাবে সক্ষম নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নিল আদালত। শনিবার ওই আদিবাসী যুবতী ও তাঁর মায়ের বয়ান নেওয়া হয়। এ দিন অভিযুক্ত যুবক ও নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়। ঘটনার সময়ে মেয়েটির পরনের পোশাক সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, “আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত চলছে।” ওই যুবতীর বাড়িতে কিছু দিনের মধ্যেই প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে এক যুবক। আট বছর আগেও ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলায় জামিন পেয়েছিল অভিযুক্ত।
মেয়েটির বাবার দাবি, “আত্মীয় বা পড়শিদের চেয়ে আমার জমিজমা একটু বেশি। তাই অনেকে হিংসা করে। তারাই উস্কানি দিয়েছে। বলেছে, ‘আগের বার কুকর্ম করলেও কে, কী করতে পেরেছে’! তাই ওই ছেলেটা ফের এমন করল।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমার ওই মেয়ে ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। আমাদের অবর্তমানে ওকে যে মেরে ফেলা হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? দোষীর এমন শাস্তি হোক, যাতে মেয়েটা নিরাপদে থাকতে পারে।”
অভিযুক্তের স্ত্রী অবশ্য এ দিনও দাবি করেন, চাষের কাজে জল নেওয়া সংক্রান্ত বিবাদের কারণে তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, নির্যাতিতার বাবার সাবমার্সিবল পাম্প থেকে অভিযুক্ত চাষের জন্য জল নিত। বুধবার অন্য এক জনের পাম্প থেকে জল নেওয়ায় নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে তার বচসা হয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)