E-Paper

দেহ ফেলতে বড়বাজার থেকে আসে ট্রলি ব্যাগ

গত রবিবার মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বীরেশপল্লিতে খুন হন সুমিতা ঘোষ নামে এক মহিলা। তিনি এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি।

ফাল্গুনী ও আরতিকে এখনও হেফাজতে নেয়নি পুলিশ।

ফাল্গুনী ও আরতিকে এখনও হেফাজতে নেয়নি পুলিশ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৩
Share
Save

খুন করার পরে পিসিশাশুড়ির মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলতে যাওয়ার জন্য বড়বাজার থেকে ট্রলি ব্যাগ কিনে এনেছিল ফাল্গুনীরা। যদিও তাদের সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় কুমোরটুলি ঘাটে যাওয়ার পরে। গত রবিবার মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বীরেশপল্লিতে খুন হন সুমিতা ঘোষ নামে এক মহিলা। তিনি এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। সুমিতাকে খুন করার পরে ফাল্গুনী ও তার মা আরতি ঘোষ মৃতার পা গোড়ালি থেকে কেটে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সুমিতাকে খুন করার পরে তাঁর দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল অভিযুক্তেরা। সেই মতো সোমবার বড়বাজার থেকে একটি নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ কিনে আনে ফাল্গুনী ও আরতি। কিন্তু ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ গঙ্গায় ফেলার বুদ্ধি কী ভাবে তাদের মাথায় এল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। প্রথমে মধ্যমগ্রামের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। মা ও মেয়েকে কলকাতা পুলিশই গ্রেফতার করে। বর্তমানে সেই মামলা এসেছে মধ্যমগ্রাম থানার হাতে। কিন্তু ফাল্গুনী ও আরতিকে এখনও হেফাজতে নেয়নি পুলিশ।

বারাসত পুলিশ জেলার পদস্থ কর্তারা জানান, ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ পাচারের পরিকল্পনা কী ভাবে করা হল, তা দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চাওয়া হবে। আপাতত
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে ফাল্গুনী ও আরতি। শনিবার সেখানে তাদের শনাক্তকরণ প্যারেডে দাঁড় করানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে ভ্যানে সুমিতার দেহ ভরা ট্রলি ব্যাগ চাপানো হয়েছিল, সেটির চালক, যে ট্যাক্সিতে ওই ট্রলি ব্যাগ চাপিয়ে কুমোরটুলি ঘাটে আনা হয়েছিল, সেটির চালক এবং যাঁরা
কুমোরটুলি ঘাটে মা-মেয়েকে দেখেছিলেন, তেমন আট জনকে দিয়ে শনাক্তকরণ প্যারেড সম্পন্ন করে পুলিশ। সকলেই ফাল্গুনী ও আরতিকে শনাক্ত করেন বলে খবর।

বারাসত পুলিশ জেলা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে জেরা করতে পারেনি মধ্যমগ্রাম থানা। যাবতীয় তথ্য কলকাতা পুলিশের কাছ থেকেই পেয়েছ তারা। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে দু’-এক দিনের মধ্যেই ফাল্গুনীদের হেফাজতে নিতে চাইছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। সেই সূত্রেই খবর, পুলিশ চাইছে, হেফাজতে নেওয়ার পরেই সেই বঁটি উদ্ধার করতে, যেটি দিয়ে সুমিতার পা কাটা হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Trolley case Madhyamgram Murder

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।