অভুক্ত: সার্কিট বেঞ্চ পরিদর্শন শেষে না খেয়েই বেরিয়ে গেলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট হাউসের দরজার তালা। তাই দুপুরে না খেয়েই ফিরতে হল মন্ত্রীকে। শুক্রবার সকাল থেকে সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শন করে, বৈঠক সারার পরে জলপাইগুড়ির সার্কিট হাউসের দোতলার ঘরে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। খাবার সাজিয়ে সার্কিট হাউসের একতলার হেঁসেল থেকে এক কর্মীও দোতলায় পৌঁছন। কিন্তু ঘরের তালার চাবি যাঁর কাছে সেই কর্মী-ই ছিল না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মন্ত্রীর জন্য একতলার একটি স্যুট খুলেও রাখা হয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিরক্ত মন্ত্রী না খেয়েই নীচে নেমে গাড়িতে উঠে সার্কিট হাউস ছেড়ে চলে যান। যে সময় বৈঠক সেরে মন্ত্রী দোতলায় খেতে গিয়েছিলেন সে সময় জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সকলেই সার্কিট হাউসে ছিলেন।
আজ শনিবার সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শনে আসার কথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য-সহ ১১ জনের প্রতিনিধি দলের। প্রথমে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসেই তাঁদের আসার কথা। শুক্রবার সকালে পর্যটন মন্ত্রী সার্কিট হাউসে এসে দেখেন চারদিক জলে কাদায় থই থই। সে সময় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাউকে না দেখে আরও ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক এসে পৌঁছন। পরে আসেন জেলাশাসক শিল্পী গৌরী সৌরীয়াও। সকাল এগারোটা থেকে সার্কিট বেঞ্চের সব ভবন পরিদর্শন করে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন মন্ত্রী। শুক্রবার রাতভর কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন।
দুপুর দেড়টা নাগাদ বৈঠক সেরে খাবার খেতে বের হন মন্ত্রী। দরজায় তালা দেখে এবং কোনও কর্মীকে না দেখে সোজা সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার কিছু বলার নেই।”
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমেধা প্রধান বলেন, “এমনটা কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। মন্ত্রীর জন্য একতলার ঘরের ব্যবস্থা হয়েছিল। সেটা কেন কেউ জানাল না তা দেখছি।” প্রশাসন সূত্রের খবর, এই ঘটনায় দুই কর্মীর কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy