দুর্ভোগ: রবিবার সন্ধেতেও রাস্তা জুড়ে রয়েছে যানজট। ছবি: সন্দীপ পাল
প্রবল যানজটে আটকে পড়েছে অসংখ্য গাড়ি। অবস্থা এমনই যে একচুল নড়তেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। সেই জটে আটকে পড়েছিল শিলিগুড়ি যাওয়ার বেশকিছু অ্যাম্বুল্যান্সও। সেগুলোকে পৌঁছে দিতে আসরে নামলেন আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা এগিয়ে এসে সেই অ্যাম্বুল্যান্সগুলোকে ভিতরের রাস্তা চিনিয়ে দিয়ে এগিয়ে এলেন। শনিবার রাতে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ির দোমোহনি মোড় এলাকা।
শনিবার রাতে ও রবিবার ভোর থেকে দু’দফায় যানজটে ভোগান্তি পোহান নিত্যযাত্রীরা। শনিবার সন্ধেয় যানজট শুরু হয় ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় থেকে ধূপগুড়ি যাওয়ার পথে জলঢাকা সেতু পর্যন্ত। একই সঙ্গে ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় থেকে তিস্তা সেতু পর্যন্ত প্রায় এগারো কিলোমিটার রাস্তা জুড়েও যানজটে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। যত রাত বেড়েছে যানজটও বেড়েছে। শিলিগুড়ি-ধূপগুড়ি জাতীয় সড়কে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল পণ্যবাহী ট্রাকের। সেদিন ধূপগুড়ি থেকে বাসে জলপাইগুড়ি আসছিলেন মৈনাক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত এই রাস্তায় আটকে ছিলাম। পরে তিস্তা সেতুর কাছে এসে পায়ে হেঁটে সেতু পেরিয়ে এক বন্ধুর মোটরবাইকে জলপাইগুড়ি শহরে আসতে হয়েছে।’’ সেদিনই শিলিগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি ফিরছিলেন নমিতা দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যানজটে তিন ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলাম। যেখানে শিলিগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি যেতে সময় লাগে খুব বেশি হলে দু’ঘণ্টা।’’
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ইন্দিরা মোড় এলাকায় রাস্তার উপর তিনটি ট্রাক বিকল হয়ে যাওয়ায় হয়েছিল যানজট। জেলা ডিএসপি (ট্রাফিক) দিবাকর দাস বলেন, ‘‘ক্রেন এনে বিকল ট্রাক সরানোর পরে যানজট কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়।’’
আবার রবিবার ভোর রাত থেকে তিস্তা সেতু এলাকায় শুরু হয় যানজট। সেতুর দু’ধারে আটকে পড়ে অসংখ্য ট্রাক, বাস। উল্লারডাবরি এলাকায় দু’টি ট্রাক বিকল হয়ে যাওয়ার এই জট হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। একদিকে চতুর্থ সড়কের নির্মাণ কাজ অন্যদিকে, প্রায়শই জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় যানজট হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy