চলছে খোঁজ। —নিজস্ব চিত্র।
মোটরবাইক দূরে রেখে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়েছিলেন। আচমকা সেই সাঁকো থেকে আত্রেয়ী নদীতে পড়ে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন তরুণী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া ওই যুবকের নাম তন্ময় ঘোষ। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা তিনি।
বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুরের সঙ্গে বালুরঘাটের সংযোগকারী একটি বাঁশের সাঁকো আছে আত্রেয়ী নদীর উপর। প্রতি দিন ওই ভগ্নপ্রায় সাঁকো দিয়ে কয়েকশো মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণ হয় না সাঁকোটির। মাঝিরা টুকটাক রক্ষণাবেক্ষণ করেন। কারণ, ওই সাঁকো দিয়ে এসে নৌকোয় ওঠেন মানুষজন।
শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সন্ধ্যায় তন্ময় নামে ওই যুবক তাঁর মোটর বাইক বালুরঘাটের দিকে রেখে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সাঁকোর উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। তাঁরা কিছু দূর যাওয়ার পরে হঠাৎই তরুণীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরা লম্বা দড়ি ফেলে ওই তরুণীকে কোনও রকমে টেনে তুলতে পারলেও তাঁর সঙ্গে থাকা যুবককে বাঁচাতে পারেননি। মুহূর্তের মধ্যেই আত্রেয়ীর জলে তলিয়ে যান তিনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। নৌকা এবং ডুবুরি এনে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু তার পরেও ওই যুবকের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আত্রেয়ীর উপর তৈরি স্বল্প উচ্চতার বাঁধের কারণে এখন নদীতে সারা বছরই জল থাকে। ফলে নদীর গর্ভে রাতের অন্ধকারে তল্লাশি চালানো কার্যত অসম্ভব বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করে থানায় খবর দেন যে, এক যুবক নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় এক তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। ডুবুরি এবং নৌকা কাজে লাগানো হচ্ছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও কাজ শুরু করেছে। সাময়িক ভাবে বাঁশের সাঁকোটি বন্ধ রাখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy