Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রথম সমাবর্তনই আচার্যহীন, রায়গঞ্জে ডি লিট হরিমাধবকে

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের আসা নিয়েও শনিবার সকাল থেকে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাঁর আসার বার্তা রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি।

ডিলিট নিচ্ছেন হরিমাধব মুখোপাধ্যায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

ডিলিট নিচ্ছেন হরিমাধব মুখোপাধ্যায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৫
Share: Save:

এলেন না আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ফলে রবিবার ফিকে হয়ে গেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের রং। রাজ্যপালের হাত থেকে শংসাপত্র নিতে না পারায় হতাশ কৃতী ছাত্রছাত্রীরা। এরই মাঝে এ বছর সাম্মানিক ডি লিট পেলেন প্রবীণ নাট্যকার হরিমাধব মুখোপাধ্যায়।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের আসা নিয়েও শনিবার সকাল থেকে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাঁর আসার বার্তা রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়নি। তবু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, আচার্য আসবেন না বলে কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই। এ দিন সমাবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি বলেন, ‘‘সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী সমাবর্তন আসতে পারেননি। শনিবার রাতে তাঁদের দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়। তবে রাজ্যপাল সমাবর্তনকে সফল করতে তাঁর বক্তব্য পাঠিয়েছেন।’’ এ দিন তা পাঠ করা হয়। চিঠিতে আচার্য জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুর জেলা ‘প্রাকৃতিক জৈব সম্পদে পূর্ণ। সেই কারণে পরিবেশ বিষয়ে পড়াশোনা, কৃষি এবং ভেষজ বিষয়ে পাঠ্যক্রমের উপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কৃতী ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া, সেরিকালচার, ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পাঠ্যক্রম শুরুর জন্য প্রশংসা করেছেন আচার্য।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয় রাজ্য সরকার। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে মঞ্চ বেঁধে সমাবর্তন আয়োজন করা হয়। গত তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে ২১টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছেন। সমাবর্তনে কৃতী ৯৪ জন পড়ুয়ার হাতে রাজ্যপালের প্রতিনিধি হিসেবে উপাচার্য সোনা ও রুপোর পদক-সহ শংসাপত্র তুলে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার জানিয়েছেন, সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক কালীশঙ্কর তিওয়ারিকে সাম্মানিক ডিএসসি সম্মান দেওয়া হয়েছে।

অন্তরা শর্মা সরকার, গৌতম সরকারদের মতো কৃতী পড়ুয়ারা জানান, উপাচার্যের হাত থেকে পদক ও শংসাপত্র নিয়েছি। তবে রাজ্যপালের হাত থেকে ওই সম্মান পেলে আরও ভাল লাগত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE