গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়ল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সিল করে দেওয়া হল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার রুমটিও। মঙ্গলবারও থমথমেই ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের বাইরে মোতায়েন ছিল পুলিশ। তবে এ দিন আর দেখা যায়নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর কোন নেতাকেই।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এ দিনই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে একটি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সিদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।’’
সোমবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। অভিযোগ, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের রাশ রয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি, কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসের হাতে। সম্প্রতি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। এর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘনিষ্ঠ নেতা বিশ্বজিৎ রায়। এই নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক মহিলা সহ দু’পক্ষের মোট ছ’জন জখম হন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের সিসিটিভির ফুটেজও খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ফুটেজ দেখে যেমন বহিরাগতদের চিহ্নিত করা হবে, তেমনই অপর গোষ্ঠীর ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy