ভোটার তালিকা সংশোধনে কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সেই নির্দেশ মেনে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল তা তৈরিও করে ফেলেছেন। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস। এতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল বলে দলের একাংশের দাবি।
গৌতম এ দিন বলেন, “যারা কাজ বোঝেন এবং কাজটা করতে পারবেন তাদের কমিটিতে রাখা উচিত। তার পরিবর্তে পছন্দের লোকদের কমিটিতে রাখলে আখেরে কাজের কাজ হবে না। কমিটি তৈরির আগে আলোচনা করা উচিত ছিল।” জেলা সভাপতি সুভাষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কমিটিতে কারা থাকতে পারবেন তার ‘ক্রাইটেরিয়া’ রাজ্য নেতৃত্ব পাঠিয়েছেন। সেই মতে ওঁর নাম রাখা যায়নি।” সুভাষের দাবি, রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিলে অবশ্যই গৌতমের নাম রাখা হবে।
গত শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য বিশেষ কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন অভিষেক। এই কমিটি খতিয়ে দেখবে কোন কোন জায়গায় ভোটার তালিকায় কী কী ধরনের ত্রুটি রয়েছে। জেলা কমিটির পাশাপাশি ব্লক কমিটিও তৈরির কথা বলেছিলেন অভিষেক। সেই নির্দেশ পেয়েই জেলা সভাপতি জেলা কমিটি তৈরি করে অভিষেকের দফতরে পাঠান। এমনকি, আটটি ব্লক কমিটিও প্রস্তুত। ২২ মার্চ মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, জেলা চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও কুশমণ্ডির বিধায়ক রেখা রায় জেলায় বৈঠক করে কমিটিগুলো অনুমোদনের জন্য রাজ্যে পাঠানো হবে বলে সুভাষ জানিয়েছেন। গৌতমের যেমন নাম বাদ গিয়েছে, তেমনই আর এক প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে জেলা কমিটিতে না রেখে গঙ্গারামপুর ব্লক কমিটিতে রাখা হয়। দলের একাংশের দাবি, গৌতম-বিপ্লবের দ্বন্দ্বে বিপ্লব ঘনিষ্ঠ জেলা সভাপতি গৌতমের নাম রাখেনি কমিটিতে। মৃণাল বলেন, “আগে প্রকাশ হোক কমিটি। যদি দেখা যায় ‘ক্রাইটেরিয়া’ না মেনে পছন্দের লোককে রাখা হয়েছে, তা হলে প্রশ্ন উঠবে। তবে রাজ্যের ‘ক্রাইটেরিয়া’ অনুযায়ী ব্লক কমিটিতেই থাকব।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)