সাধারণত তিনি মাথা নোয়ান না। এ বার অবশ্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। সমাজমাধ্যমে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে কুকথা বলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী অনুরাগ কাশ্যপ। তাতেও সমস্যা মেটেনি।
জানা গিয়েছে, এ বার আসরে নেমেছে একাধিক ব্রাহ্মণ সংগঠন। পরিচালক সম্প্রতি এই বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যা বলেছেন তার তীব্র বিরোধিতা করে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাল্টা প্রশ্ন, “দেশের উন্নতিতে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কি কোনও ভূমিকাই নেই?” তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, পরিচালক যতই ক্ষমা চান, তাঁরা বিষয়টি ততটাও লঘু করে দেখছেন না। উল্টে কশ্যপের মুখে কালি মাখানোর প্রস্তাবও রেখেছেন তাঁরা! জানিয়েছেন, যিনি এই কাজটি করতে পারবেন তাঁকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরাগের এই অশ্রদ্ধার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন পণ্ডিত সুরেশ মিশ্র। তিনি ‘সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা সংগঠন’-এর প্রধান, ‘চাণক্য সেনা সংগঠন’-এর পৃষ্ঠপোষক। তাঁর দাবি, “দেশের জন্য, সমাজ সংস্কারের জন্য ব্রাহ্মণদেরও অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। অনুরাগ সে সমস্ত অস্বীকার করেছেন। সমর্থন জানিয়েছেন সেই ছবিকে, যেখানে এই সম্প্রদায়কে ছোট করে দেখানো হয়েছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না।” প্রসঙ্গত, আসন্ন ‘ফুলে’ ছবিতে জ্যোতিবা, সাবিত্রীবাই ফুলের জীবন দেখানো হচ্ছে। সেখানের কিছু দৃশ্য নিয়ে সেন্সর বোর্ডের পাশাপাশি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়েরও আপত্তি রয়েছে। যে কারণে ছবির মুক্তি পিছিয়ে আপাতত ঠিক হয়েছে ২৫ এপ্রিল। এই বিষয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অনুরাগ।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হতেই একে একে তাঁর বিরুদ্ধে সরব ‘চাণক্য সেনা’, ‘সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা’, ‘বিশ্ব ব্রাহ্মণ পরিষদ’, ‘ব্রাহ্মণ সেবা সঙ্ঘ’, ‘অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ মহাসভা’-সহ একাধিক সংগঠন। সংগঠনের শীর্ষনেতাদের দাবি, একা পরিচালক নন, তাঁর ভাবনায় প্রভাবিত যাঁরা, তাঁদের সকলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।