বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে কোনও একটি বন্দে ভারতের স্টপ পেতে পারে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন। ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের সংস্কার কাজ চলছে। আমূল পরিবর্তন হচ্ছে স্টেশনের চেহারা এবং পরিকাঠামোর। সেই কাজ শেষ হলেই রোড স্টেশনে বন্দে ভারতের স্টপ নিয়ে রেল কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রেল সূত্রের খবর, এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বদলে যাচ্ছে স্লিপারে। নতুন বন্দে ভারত চালু হলে সেই ট্রেনটির স্টপ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দেওয়া হতে পারে। তবে জলপাইগুড়ি রোডের পরিবর্তে ধূপগুড়িতেও দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে কলকাতাগামী বন্দে ভারত ট্রেনটি চালানো যায় কিনা সেটিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। কোনও সিদ্ধান্তই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অন্যতম এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “বন্দে ভারতের মতো ট্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রেল বোর্ড। বিভিন্ন সময়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের হাতে থাকা বন্দে ভারতের গতিপথ, স্টপ, গতি, যাত্রী সম্ভাবনা, বন্দে ভারত ট্রেনগুলি যে যে স্টেশন টপকে যায় সেখান পরিকাঠামো সংক্রান্ত নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, আমরা সে সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছি।”
রেল সূত্রের খবর, দক্ষিণ ভারত যাতায়াতে আরও একটি নতুন ট্রেন নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে মন্ত্রক। উত্তরপূর্বের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের যোগাযোগের বর্তমানে যে ক’টি ট্রেন রয়েছে সেগুলি সবই অসম বা ত্রিপুরা থেকে ছাড়ে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতগামী কোনও ট্রেন চালানো যায় কিনা, ভাবছে রেল। সে ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারকে ভেবেছে রেল। আলিপুরদুয়ার থেকে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন ছাড়লে উত্তরবঙ্গ তো বটেই নিম্ন অসমের যাত্রীরাও সুবিধে পাবেন। রেলের একটি সূত্রের দাবি, উত্তরবঙ্গের বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি রেল নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেগুলি বিবেচনা করেই রেল বোর্ডকে মতামত পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “জলপাইগুড়িতে বন্দে ভারতের স্টপ, নতুন ট্রেন চালানোর একাধিক প্রস্তাব দিয়েছি। রেলের তরফে সরকারি ভাবে আমাকে জানানো হয়েছে, সে সব প্রস্তাব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনই এর বেশি কিছু বলছি না।”
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম দু দিকে সম্প্রসারিত হয়েছে। এক নম্বর গুমটি দিয়ে যাওয়া পিচ রাস্তার দু দিকে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। মাঝে রাস্তার অংশটি রয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং মেলের মতো বড় ট্রেন স্টেশনে এলে গুমটির রাস্তার ওপরেই ট্রেনের অংশ দাঁড়িয়ে থাকে। রেল গেট বন্ধ করে দিতে হয়। রেল সূত্রের খবর, ট্রেন থাকলে যাতে যাতায়াতে সমস্যা না হল সে কারণে ছোট গাড়ি চলাচল করার উপযোগী হালকা ওভারব্রিজ তৈরির জন্য বরাদ্দ এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy