বছরের প্রথম দিনে বেঙ্গল সাফারিতে হাতি-সফর। ছবি: বিনোদ দাস
কেউ প্রভাতফেরিতে হাঁটলেন, কেউ মন্দিরে গর্ভগৃহে ঢোকার লাইনে দাঁড়ালেন। কেউ আবার প্রভাতফেরিতে হেঁটে, মন্দিরে গেলেন। কেউ ঘেমে-নেয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরলেন, কেউ দুপুরের রোদ উপেক্ষা করে হোটেল-গোলবাড়ি ঘরানার কষা মাংস খেলেন।
শনিবার, নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিন বৈশাখের আকাশে টুকরো টুকরো মেঘের মতোই থোকা থোকা ভিড় ঘুরে বেড়াল জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি—দুই শহরে। সমতলের রোদ তাপ মাখা দুই শহর থেকে অনেকটা উঁচুতে থাকা দার্জিলিঙের ম্যালে নববর্ষের প্রথম দিনে ভিড় উপচে পড়েছিল পর্যটকদের। গত শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। টানা তিন দিনের ছুটিতে শীতল পাহাড়ি জনপদ অনেকেরই গন্তব্য হয়েছে। বছরের প্রথম দিন দার্জিলিং ছিল ভিড়ে ঠাসা।
শনিবার সকালের শুরুতে জলপাইগুড়ি হেঁটেছে প্রভাতফেরিতে। একাধিক সংস্থার তরফে সকালে শোভাযাত্রার আয়োজন ছিল শহরে। সকাল থেকে শিলিগুড়ির নিউ সিনেমা রোডে আনন্দময়ী কালীবাড়ি, শিলিগুড়ি হাসপাতালের পাশে মায়ের ইচ্ছা কালীবাড়িতে পুজো দিতে লাইন পড়ে যায়। সকালে জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ডিবিসি রোডে সার দিয়ে সোনার দোকানের সামনে ছিল ফুলের সাজ। সকাল থেকে ধূপের ধোঁয়া, ধুনোর গন্ধ, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের শব্দে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল পুজোর আমেজ।
শহরের হোটেল-রেস্তরাঁগুলি ছিল ভিড়ে ঠাসা। সন্ধের পর থেকে শহরের রাস্তায় ভিড় উপচে পড়ে। যানজট ছড়িয়ে পড়ে শহরের প্রায় সব এলাকাতেই। সে ভিড় ছিল বিভিন্ন দোকানে হালখাতা করতে যাওয়ার, সে ভিড়ে মিশে ছিলেন হোটেল-রেস্তরাঁর উদ্দেশে রওনা দেওয়া ভোজনরসিকেরাও। কদমতলার চায়ের দোকান বা খাওয়ারের স্টলের সামনে আড্ডাও চলেছে চুটিয়ে। শিলিগুড়ির বিভিন্ন রেস্তরাঁ থেকে মলে ছিল থিকথিকে ভিড়। মাটিগাড়া উপনগরীর একটি মল আড্ডায়, জমজমাট খাওয়ার স্টলে যেন পুজো মণ্ডপের ছবি ফিরিয়ে এনে বৈশাখে অকালবোধন করেছে।
নববর্ষে শিলিগুড়ি শহরের উপকন্ঠে বেঙ্গল সাফারিতেও ভিড় উপচে পড়ে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বেলা ১টা থেকে ভিড় বেড়েছে। দুপুর গড়াতে ভিড় আরও বাড়তে থাকে বলে জানান, বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর কমল সরকার। শিলিগুড়িতে বাঘাযতীন পার্কে বর্ষবরণের আয়োজন ছিল। সেখানে গানে-নাচে বৈশাখকে আমন্ত্রণ জানায় চেনা-অচেনা মুখের মেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy