একই সঙ্গে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চার জন ফিজিশিয়ানের সকলেই ছুটিতে চলে যাওয়ায় হাসপাতাল সুপারকে শো-কজ করল স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। রাজ্যে কোনও হাসপাতালে একই সঙ্গে কোনও বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক ছুটিতে যাওয়ার নজির নেই বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে সফরের সময় থেকে হাসপাতালের চার জন ফিজিশিয়ানই নানা কারণে আসছেন না। কী ভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা সুপার কেন আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি, তা তাঁকে জানাতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘শো-কজের চিঠি পেয়েছি। সেই মতো জানাব।’’
এ দিকে বিশেষজ্ঞ ফিজিশিয়ানরা না আসায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে মেডিসিন বিভাগে রোগীকে ভর্তি করানোর সময় বলে দেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ফিজিশিয়ান নেই। রোগীরা সুপারের অধীনে ভর্তি হচ্ছেন। সিসিইউ-র একজন এবং একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান দুই জনকে করে তিনটি দল করা হয়েছে। তাঁরা দু’দিন করে রোগীদের দেখছেন।
সুপারের দাবি, তিনি কাউকেই ছুটি দেননি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ মে এক জন চিকিৎসক স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য চার দিনের ছুটি নেন। তিনি এখনও আসতে পারেননি। ৪ জুন এক মাসের ছুটির আবেদন করেন হাসপাতালের আরেক ফিজিশিয়ান শীর্ষেন্দু পাল। তিনি প্রগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ি শাখার নেতা তথা প্রাক্তন সভাপতি। চার জনের মধ্যে দুই চিকিৎসক থাকায় তাঁদের উপর চাপ পড়ে। তাঁরা সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে ৯ জুন প্রথমে সৌম্য ঘোষ এবং রাতে অসুস্থ হয়ে আর এক চিকিৎসক প্রতীম রায় নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তাঁরা এখনও হাসপাতালে কাজে যোগ দেননি। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy