Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ভিন রাজ্যে বিজেপির বাজিমাতে চনমনে গ্রেটার

উত্তরের হাওয়া গেরুয়া উত্তরও

সকাল থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ ছিল। দিন যত গড়িয়েছে পাল্টে গিয়েছে মহারাজার দরবার। চনমনে হয়েছেন মহারাজার অনুগামীরা। ভিড়ও বেড়েছে রাজবাড়ির আশেপাশে।

গেরুয়া: দোলের আগের দিনই আবিরে রঙিন বিজেপি সমর্থক। আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

গেরুয়া: দোলের আগের দিনই আবিরে রঙিন বিজেপি সমর্থক। আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০২:১২
Share: Save:

সকাল থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ ছিল। দিন যত গড়িয়েছে পাল্টে গিয়েছে মহারাজার দরবার। চনমনে হয়েছেন মহারাজার অনুগামীরা। ভিড়ও বেড়েছে রাজবাড়ির আশেপাশে।

শনিবার উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে বিজেপির ভাল ফলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত মহারাজার শিবির। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা আশঙ্কা করছেন, নতুন করে কোচবিহারে মাথাচাড়া দিতে পারে গ্রেটারদের আন্দোলন।

কারণ লোকসভা, বিধানসভা থেকে একাধিক নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছে গ্রেটার। গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজকে বিজেপি নেতাদের মঞ্চেও দেখা যায়। এমনকি মাদারিহাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চেও হাজির ছিলেন মহারাজ। বিজেপি সাংসদ আলুআলিয়া প্রকাশ্যেই গ্রেটারের হয়ে সওয়াল করেন। এর পরেই রাজ্যের শাসক দল গ্রেটারের অনন্ত মহারাজ গোষ্ঠীর উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। গ্রেটারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নারায়ণী সেনার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শিল্পনিগমের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে গ্রেটারের বিরুদ্ধে। চাপে পড়ে নানা অনুষ্ঠান, আন্দোলনের ক্ষেত্রে আর আগের মতো সক্রিয় ছিল না গ্রেটার। নারায়ণী সেনার হদিশও মিলছিল না। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয় গ্রেটারদের ফের উজ্জীবিত করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

গ্রেটার নেতৃত্ব অবশ্য ওই বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তেই বেশি হইচই করতে চান না। অনন্ত মহারাজার মোবাইল সকাল থেকেই ছিল বন্ধ। গ্রেটারের আরেক নেতা পরেশ অধিকারী বলেন, “অন্য রাজ্যের ভোটের ফল নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কেন্দ্রে যে সরকার থাকবে তাঁদের সঙ্গে আমাদের সখ্য থাকবে।” গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের আরেক গোষ্ঠীর নেতা বংশীবদন বর্মনের বক্তব্য, “বিজেপিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এতে কেউ চনমনে হবে বা কেউ ব্যাকফুটে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। কোচবিহারের মানুষের জন্য যারা ত্যাগস্বীকার করবেন মানুষ তাঁদের পাশেই থাকবেন।”

বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য সরাসরি দাবি করেছেন, গ্রেটার বিজেপিকে সমর্থন করাতেই রাজ্যের শাসক দল তাদের উপরে নানা বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেয়। যাতে গ্রেটার তৃণমূলের কাছাকাছি চলে যায়।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের জয়। এখন কোচবিহারে আমাদের সংগঠন হু হু করে বাড়বে। আর গ্রেটারকে কোণঠাসা করার জন্য শাসক দলের যে পরিকল্পনা সেটাও ব্যর্থ হবে।”

তবে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ বা কোচবিহারের মানুষ বিজেপিকে কোনও দিন জায়গা দেবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Greater Cooch Behar BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE