Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

দেহ ফেরত গেল দেশে

অবশেষে রবিবার রাতে নাতির দেহ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন দিদা। রবিবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়ে আসেন শাহাদত হুসেনের দিদা সাকিনা খাতুন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৫
Share: Save:

অবশেষে রবিবার রাতে নাতির দেহ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন দিদা। রবিবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়ে আসেন শাহাদত হুসেনের দিদা সাকিনা খাতুন। রবিবার রাতেই পুলিশের উপস্থিতিতে ফুলবাড়ি সীমান্তে শাহাদতের দেহ পৌঁছয়। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ ও বিএসএফের উপস্থিতিতে শাহদাতে দেহ বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।

অবৈধ ভাবে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকার অভিযোগে বিএসএফ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল শাহাদতকে। তিনি জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। পরকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সংশোধনাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে সংশোধনাগারের হাসপাতালে ওই বন্দির শারিরিক অবস্থায় অবনতি হওয়াতে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান বাংলাদেশের বাসিন্দা শাহাদত হুসেন (২৩)। আইনি জটিলতায় চারদিন ধরে ভারতে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ছিল তাঁর দেহ। বাংলাদেশ হাইকমিশনের ছাড়পত্র না আসায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে বাংলাদেশে থেকে আসা মৃত যুবকের দিদা সাকিনা খাতুন রবিবার কলকাতা থেকে ওই ছাড়পত্র নিয়ে আসেন। এ দিন সমস্যার কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন শহরের চার নম্বর ঘুমটির পুরাতন মসজিদ কমিটির সদস্যরা। তাঁরা নিজেদের খরচে দেহ কফিন বন্দি করে ও বরফ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

এ দিন সাকিনা খাতুন বলেন, ‘‘আইনি জটিলতা জন্য আটকে ছিল আমার নাতির দেহ। কলকাতা গিয়ে সেই আইনি জটিলতা কাটিয়ে আজকে ফিরে এসে দেহ নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করেছি। আমার বিপদের কথা শুনে এখানকার লোকজন এগিয়ে এসেছেন খুব উপকার হয়েছে এতে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE