Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
পর্যটকদের ছবি তোলার নেশায় উত্ত্যক্ত বন্যপ্রাণও, উদ্বেগে পরিবেশপ্রেমীরা

নিজস্বী নিতে ব্যারিকেড টপকে ঝুঁকি

কেউ কালীর সঙ্গে নিজস্বী নিতে চান, তো কেউ গৌরীর ‘ক্লোজ আপ’ নিতে মরিয়া। ভিডিও ক্লিপিংস রেকর্ডিংয়েও উৎসাহে খামতি নেই। কারও আবার ইচ্ছে তর্জন-গর্জনের আওয়াজটা মোবাইলে রেকর্ড করে ‘রিংটোন’ করে চমকে দেওয়া। আকর্ষণের মধ্যমণি এখন রসিকবিল মিনি জু’র এই চিতাবাঘেরা।

বেপরোয়া: এ ভাবেই চিতাবাঘের সামনে ফোটোগ্রাফি। নিজস্ব চিত্র

বেপরোয়া: এ ভাবেই চিতাবাঘের সামনে ফোটোগ্রাফি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রসিকবিল শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৫
Share: Save:

কেউ কালীর সঙ্গে নিজস্বী নিতে চান, তো কেউ গৌরীর ‘ক্লোজ আপ’ নিতে মরিয়া। ভিডিও ক্লিপিংস রেকর্ডিংয়েও উৎসাহে খামতি নেই। কারও আবার ইচ্ছে তর্জন-গর্জনের আওয়াজটা মোবাইলে রেকর্ড করে ‘রিংটোন’ করে চমকে দেওয়া। আকর্ষণের মধ্যমণি এখন রসিকবিল মিনি জু’র এই চিতাবাঘেরা।

অভিযোগ, ছবি তোলার নেশাতেই উদ্ধারকেন্দ্রের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যারিকেড টপকে একেবারে ওই চিতাবাঘেদের তারজালির ঘেরাটোপের সামনে চলে যাচ্ছেন পর্যটকদের অনেকে। এতে উদ্বেগ বেড়েছে পরিবেশপ্রেমী মহলের। তাঁদের আশঙ্কা, এতে বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকছে তেমন রয়েছে বিপদের সম্ভবনাও। ওই প্রবণতা বন্ধে সচেতনতা ও নজরদারি বাড়ানর দাবি উঠেছে।

ঘটনার কথা জেনেছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনও। তিনি বলেন, “সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। কী কী করা যায় তা দেখছি।” কোচবিহারের ডিএফও বিমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে রসিকবিলে প্রায় এক একর জমির ওপর চিতাবাঘ উদ্ধারকেন্দ্রটি চালু হয়। চার দিকে বিশাল তারজালির ঘেরাটোপ বসানো হয়। পরবর্তী কালে পর্যটকদের একাংশ তারজালির কাছাকাছি চলে যাওয়ায় বসানো হয় নতুন ব্যারিকেড। অভিযোগ, মোবাইল ক্যামেরা, সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার যুগে এখন ওই ব্যারিকেড টপকে ছবি তোলার প্রবণতা শুরু হয়েছে। কয়েক জন স্থানীয় বনকর্মী জানান, অনেকে ক্যামেরার লেন্স, হাতের আঙুল তারজালির ভেতরে ঢুকিয়ে ছবি তোলার ঝুঁকি নিচ্ছেন। সম্প্রতি গুহায়াটি চিড়িয়াখানায় এক যুবকের ওপর বাঘের হামলার পরে রসিকবিলে অতিরিক্ত ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পরিবেশপ্রেমীরা জানান, তাই আগেভাগেই সতর্কতায় জোর দেওয়া দরকার। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “অত্যন্ত বিপজ্জনক ব্যাপার। বাড়াতে হবে কর্মীদের নজরদারি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE