Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

হরিণ দেখতে হাতি সাফারি

এক সময় শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সুকনায় হাতি সাফারি শুরু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গে ঘুরতে এসে হাতি সাফারির স্বাদ পেতে পর্যটকদের যেতে হয় ডুয়ার্সের জঙ্গলে। শিলিগুড়িতে এ ধরনের হাতি সাফারি পর্যটনের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী দুই মন্ত্রী।

সওয়ার: হাতির পিঠে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ছবি: স্বরূপ সরকার

সওয়ার: হাতির পিঠে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ছবি: স্বরূপ সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০০
Share: Save:

পর্যটক টানতে বেঙ্গল সাফারি পার্কে চালু হল হাতি সাফারি। হাতির পিঠে ঘেরাটোপের মধ্যে জঙ্গলে ঘুরবেন উৎসাহীরা। হরিণ, গন্ডার, বুনো শুয়োর দেখতে পাবেন। সোমবার বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব হাতি সাফারির উদ্বোধন করেন। তাঁরা নিজেরাও হাতির পিঠে চড়েন।

এক সময় শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সুকনায় হাতি সাফারি শুরু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গে ঘুরতে এসে হাতি সাফারির স্বাদ পেতে পর্যটকদের যেতে হয় ডুয়ার্সের জঙ্গলে। শিলিগুড়িতে এ ধরনের হাতি সাফারি পর্যটনের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী দুই মন্ত্রী।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই বেঙ্গল সাফারি পার্ক। ‘এলিফেন্ট সাফারি’ চালু হল। পর্যটকদের অনেকেই উৎসাহী হবেন।’’ বনমন্ত্রীও জানান, দার্জিলিং, সিকিম, ভুটানে যে সব পর্যটকেরা শিলিগুড়ি হয়ে যাতায়াত করবেন এখানে হাতি সাফারি তাঁদের নিশ্চয়ই আকর্ষণ করবে। দু’টি হাতি এখনও আনা হয়েছে। আরও দু’টি হাতি আনার চেষ্টা হচ্ছে। এ দিন সাফারির সূচনায় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর, বনাধিকারিকদের অনেকেই।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৫৮ বছরের লক্ষ্মীকে জলদাপাড়া থেকে চার দিন আগে এবং ৪৬ বছরের ঊর্মিলাকে বক্সা থেকে সপ্তাহখানেক আগে আনা হয়েছে। সকালে এবং বিকেলে দুই দফায় তিন বার করে সাফারি করাবে এক একটি হাতি। একবার একটি হাতির পিঠে পাতা আসনে ৪ জন করে সাফারি করতে পারবে। সেই মতো প্রতিদিন ৪৮ জন সাফারির সুযোগ পাবেন। হাতি বাড়ানো হলে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটকদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, সাফারির জন্য মাথা পিছু ফি ৩০০ টাকা। বনমন্ত্রী জানান, একটি হাতির পিছনে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই হিসেব করেই সাফারির জন্য ওই ফি রাখা হয়েছে।

সাফারি পার্কে বতর্মানে একটি গন্ডার রয়েছে। আর একটি আনার চেষ্টা চলছে। বুনো শুয়োর যে কয়েকটা রয়েছে সেগুলোর নতুন শাবক হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তেলতা সেতু রেল লাইন নষ্ট হলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। তার উপরে পাহাড়ে অশান্তি, বন্‌ধ পরিস্থিতির জন্য পুজোর মরসুমেও পর্যটক শূন্য পাহাড়। তবু শুরুতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার উৎসাহীদের টানবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। সাফারি পার্কের ডিরেক্টর অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্থানীয় পর্যটক তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে ডুয়ার্সে বা সিকিমে যাচ্ছেন অনেকে। তাঁরাও আসবেন বলে আশা করছি।’’ এ দিন উদ্বোধন করা হয় সাদা ময়ূরের আবাস। সেখানে চারটি সাদা ময়ূর আনা হয়েছে। দু’টি দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রীর এক পরিচিত ব্যক্তি অপর্ণ মিত্র। বাকিগুলি আলিপুর চিড়িয়াখানার। বনজ এবং হাতের কাজের বিক্রিয় কেন্দ্রও চালু হয় এ দিন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE