Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

হামলা হলে ডাক্তাররা চলে যাবেন: সুপার

মেডিক্যাল কলেজের সুপার বলেন, “মেডিক্যাল চালু হওয়ার পরে অন্তত ৩ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হন। ২ জনকে মারধর করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩৭
Share: Save:

একের পর এক হামলায় চিকিৎসকদের অনেকেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করলেন কোচবিহার মেডিক্যাল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিশ্বপ্রিয় সিংহ। সোমবার হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘‘এমনটা চলতে থাকলে চিকিৎসকদের অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে পারেন।’’ রবিবারই হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এক রোগীর আত্মীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই দিনই জানিয়ে দেন, যমজ শিশুর একজনের মৃত্যু হয়ছে। চুরির অভিযোগ ঠিক নয়। এ দিন ভারপ্রাপ্ত সুপার অভিযোগ করেন, ‘‘সবাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পরেও কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠছে।’’

মেডিক্যাল কলেজের সুপার বলেন, “মেডিক্যাল চালু হওয়ার পরে অন্তত ৩ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হন। ২ জনকে মারধর করা হয়। আমরা সবাই চেষ্টা করছি কী ভাবে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া যায়, সেখানে এমন হলে কাজ করব কী করে।”

সুপার দাবি করেন, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব চালু হওয়ার পরে কোচবিহারে শিশু মৃত্যুর হার একদমই কমে গিয়েছে। আগামীতে তা শূন্যে আনার লক্ষ্য রেখেই এগিয়ে চলছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।’’

রোগীদের একটি অংশের অবশ্য অভিযোগ, অনেক সময়ই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি, রোগীর কথাও অনেক ক্ষেত্রে শুনতে চাওয়া হয় না। বারবার ডেকেও অনেক সময় কর্মীদের সাড়া পাওয়া যায় না। এমন ঘটনা দুই-একটি ঘটে তা অস্বীকার করেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, এমন কোনও অভিযোগ থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে করতে পারেন রোগীর পরিজনরা সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ একটি পুলিশ ফাঁড়ির আবেদন জানিয়েছেন। আর সেই সঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স দেওয়ার দাবি রাখা হয়েছে। গত বছরই কোচবিহার জেলা (এমজেএন) হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। ওই সময়ের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। বর্তমানে ১৬০ জন চিকিৎসক রয়েছেন মেডিক্যাল হাসপাতালে। নার্স রয়েছেন ২৭৫ জন। মেডিক্যাল হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পরে সেখানে তৈরি হয়েছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব। সেখানে রয়েছে ২৯২ টি শয্যা। মূল হাসপাতালে আগে থেকেই রয়েছে ৫২০টি শয্যা। সারা বছরই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ রোগীতে ঠাসাঠাসি থাকে। তার উপরে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন হাজির হন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী। এই বিপুল পরিমাণ মানুষের আনাগোনা হলেও নিরাপত্তা কিছুই নেই বলে অভিযোগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Coochbehar Medical College Doctors
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy