প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রীয় সরকার যে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে, তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি বলেই দাবি চা শিল্পের। তাঁরা দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও অসম মিলিয়ে গত তিন মাসে এই শিল্পে আর্থিক ক্ষতি প্রায় ২১০০ কোটি টাকা। উৎপাদন মার খেয়েছে ১৪ কোটি কেজি। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার কো বটেই, রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকেও আলাদা আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানাতে চলেছে চা বাগান মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন।
টি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছ, সরকারের ঘোষণা করা আর্থিক প্যাকেজ সাধারণত চা শিল্পে খুবই কম কাজে লাগছে। সেই জায়গায় করে ছাড়, কার্যকরী মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো, বিদ্যুতের বিলে ভর্তুকি, পিএফের বকেয়া মেটানোর ক্ষেত্রে সরকার সাহায্য করলে তা সরাসরি শিল্পে কাজে লাগতে পারে। সংগঠনের এক মুখপাত্র জানান, ‘‘আমরা অসম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে কাজ করছি। সরকার এগিয়ে না এলে আগামীতে বেশ কিছু বাগান টিঁকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।’’
বাগান মালিকেরা জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরেই চা শিল্পে সমস্যা চলছে। করোনা একে খাদের ধারে নিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছরে উৎপাদন খরচ ৭-১০ শতাংশ বাড়লেও চায়ের দাম এবং বিক্রি মোটে ১ শতাংশ বেড়েছে। এই তারতম্যের জন্য অনেক সময়ই বাগান মালিকদের কম দামে চা পাতা বিক্রি করতে হয়। এ বছর মার্চ থেকে মে অবধি বাগানগুলি বন্ধ থাকায় অর্থনীতি একেবারে মুখ খুবড়ে পড়ছে।
টি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সেকেন্ড ফ্লাশের পাতা ঠিকঠাক তুলতে পারলে কিছুটা বাঁচোয়া। কী ভাবে? সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, বিদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সেকেন্ড ফ্লাশের চা পাতা নিয়ে রাশিয়া, ইউরোপ বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহ থেকে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। বিমান-সহ সমস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে রফতানির সুযোগ তৈরি হবে। সংগঠনের এক মুখপাত্রের কথায়, ‘‘চা গবেষণায় সামনে এসেছে, চা পান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বাজারে চা পাতার কদর বাড়বে তা আশা করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy