আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের নেতৃত্বে জনসমাবেশ ঘিরে জেলাজুড়ে সাজ সাজ রব। এরই মধ্যে মঞ্চ তৈরি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় শুরু হল তুমুল বিতর্ক। বালুরঘাট শহরের অফিসপাড়া বলে পরিচিত প্রশাসনিক ভবন এবং থানার সামনে তিনমাথার মোড়ে উঁচু মঞ্চ করে আয়োজিত ওই জনসভা কী করে প্রশাসনের অনুমতি পেল, বুধবার সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বাম বিজেপি।
বালুরঘাটের বাম বিধায়ক তথা আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী এ দিন সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে টেলিফোনে নালিশ জানান। প্রবীণ বামনেতা জানান, ওই জায়গায় তৃণমূল সভা করছে, তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এতে তাঁদেরও সেখানে সভা করার রাস্তা খুলে গেল। বিধায়ক বিশ্বনাথবাবুর কথায়, ‘‘এর আগে প্রশাসনের তরফে সর্বদল বৈঠক করে থানামোড়ে কোনও রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করা যাবে না বলে বলা হয়েছিল। সেখানে ডিএম অফিস, জেলা গার্লস হাইস্কুল, ও সদর থানা থাকায় সভার কোলাহল ও মাইকের শব্দে দফতরে কাজ করতে সমস্যা হয় বলে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সর্বদল বৈঠক করে সভা করার অনুমতি বাতিল করা হয়েছিল।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার অভিযোগ করেন, ‘‘জেলাশাসকের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা থাকে বলেই জানি। বিরোধী দলকে সভার অনুমতি দেয় না প্রশাসন। তবে শাসক দল কি সব নিয়মের ঊর্ধ্বে?’’ এ বার থেকে তাঁরাও থানা মোড়ে মঞ্চ বেধে সভা করবেন বলে শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওইখানে মিছিল করে পথসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাস্তা আটকে কোনও জনসভা করা হবে না।’’ বালুরঘাটের মহকুমা শাসক ইশা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক চত্বরে বিশেষ কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হলে, তার মেয়াদ থাকে ৬০ দিন।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে মানুষের দুর্ভোগ চলছেই। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও দলীয় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। সভায় জনজোয়ার ঘটবে, আঁচ করে বিরোধীরা অহেতুক বিতর্ক তুলেছে। রাজনৈতিকভাবে তার মোকাবিলা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy