Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পাশে কংগ্রেস, পাশ হল বামেদের প্রস্তাব

এক জন কাউন্সিলর সঙ্গ ছেড়েছেন। আর এক কাউন্সিলর সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। এই অবস্থায় সংখ্যালঘু বাম পুরবোর্ড কী ভাবে মাসিকসভায় প্রস্তাব পাশ করে, সেটাই ছিল সোমবারের সব থেকে বড় কৌতূহল। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস পাশে দাঁড়ানোয় এই কাজে বিশেষ সমস্যা হয়নি অশোক ভট্টাচার্যের।

চলছে বোর্ড মিটিং। ছবি: সন্দীপ পাল।

চলছে বোর্ড মিটিং। ছবি: সন্দীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৪
Share: Save:

এক জন কাউন্সিলর সঙ্গ ছেড়েছেন। আর এক কাউন্সিলর সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। এই অবস্থায় সংখ্যালঘু বাম পুরবোর্ড কী ভাবে মাসিকসভায় প্রস্তাব পাশ করে, সেটাই ছিল সোমবারের সব থেকে বড় কৌতূহল। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস পাশে দাঁড়ানোয় এই কাজে বিশেষ সমস্যা হয়নি অশোক ভট্টাচার্যের।

৪৭ সদস্য বিশিষ্ট শিলিগুড়ি পুরসভায় বামেদের কাউন্সিলর ছিল ২৩ জন। নির্দল অরবিন্দ ঘোষের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাঁরা বোর্ড গঠন করেন। কিন্তু সম্প্রতি কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দুর্গা সিংহ দল ছাড়েন। তখনই বামেরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন। এর পরে মারা যান অরবিন্দ ঘোষ। ফলে সঙ্কট গভীরতর। অন্য দিকে, প্রধান বিরোধী তৃণমূল এখন ১৮। মধ্যে ব্যবধান মোটে চার জনের।

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের চার সদস্যের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বামেদের। এ দিন সেই কাজটিই করেছে কংগ্রেস। যে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা গোটা রাজ্যে হয়েছে, তার আঁতুড়ঘর অশোক ভট্টাচার্যের শহরই। বস্তুত, অশোকবাবুই প্রথম দুই রাজনৈতিক দলের জোট গঠনের পথ দেখিয়েছিলেন। সোমবার সেই পথেই আরও এক বার হাঁটল কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতা সুজয় ঘটক এ দিন পুরসভায় ছিলেন না। তবে দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর সীমা সাহা এবং স্বপ্না দত্ত উপস্থিত ছিলেন। সীমা দেবী জানান, ‘‘পুজোর আগে বিভিন্ন পরিষেবা যাতে মানুষ পান সে জন্য আমরা এদিন বোর্ড সভার বিভিন্ন প্রস্তাব সমর্থন করেছি।’’

শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি, বিভিন্ন পরিষেবা না-মেলার অভিযোগ তুলে মেয়রের ব্যর্থতা নিয়ে স্লোগান দিযে এ দিন সভায় ঢোকেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। নান্টু পাল মেয়রের সার্বিক ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি, পানীয় জলের সুষ্ঠু সরবরাহ না-মেলা, শহরজুড়ে আবর্জনা সাফাই না-হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে পুজোর আগে ওয়ার্ডগুলির রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি, অবৈধ নির্মাণ, চর দখল, বামপন্থী সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া, রাজ্য সরকার অর্থ দিচ্ছে না বলে বারবার মিথ্যে অভিযোগ তোলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কৃষ্ণ পাল, রঞ্জন সরকারদের মতো দলের আরও কয়েক জন কাউন্সিলর।

মেয়র জানান, পুরসভার তরফে সামান্য কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে কর্মীদের বেতন, বিএ’র মতো পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে অর্থ মিলছে। ১৪ অর্থ যোজনার গত বছরের টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রের দুটি প্রকল্পে তাঁরা টাকা পাচ্ছেন। তবে রাজ্যের তরফে পরিকল্পনা খাতে কোনও টাকা পাচ্ছেন না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE