একসঙ্গে: দাসপাড়ার কংগ্রেসের সভায়। চোপড়ায় শনিবার। নিজস্ব চিত্র
চোপড়ায় নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবারকে নিয়ে আজ, রবিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই প্রতিনিধি দলে থাকবেন দীপা দাশমুন্সি, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান-সহ অন্য নেতারা। শনিবার চোপড়ায় দলীয় এক সভায় এই কথা জানান দীপা নিজেই।
চোপড়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত দাসপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সমিরুদ্দিন এবং লক্ষ্মীপুরের নন্দগছের সমীরুল হকের পরিবারের সদস্যরা আজ যাচ্ছেন যাবেন দীপার সঙ্গে। শনিবার চোপড়ার দাসপাড়া স্কুলের মাঠে প্রতিবাদ সভা হয় কংগ্রেসের। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, মান্নান-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা ছিলেন। ছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, আবু হাসেম খান চৌধুরীও। সোমেন বলেন, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাবে আমাদের প্রতিনিধি দল। আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ভাবেই আমরা জোট করব না। আমরা একাই লড়ব।’’ মান্নান বলেন, ‘‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি।’’
এ দিন ওই মঞ্চে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর ভাই কাইজার চৌধুরী। তৃণমূলের চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস কংগ্রেসই চালাচ্ছে। আমরা চুপচাপ রয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’’
এ দিন লক্ষ্মীপুর এলাকায় কংগ্রেসের সভায় যাওয়ার পথে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।
সামান্য কারণে এখনও গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। আহতের সংখ্যাও কম নয়। নিহত সামিরুলের স্ত্রী হাসনারা বেগম বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কাছে গিয়ে দেখা করার কথা শুনেছি। ঘটনার তদন্তের জন্যই আমরা আবেদন রাখব।’’
দাড়িভিট নিয়ে সিবিআই তদন্তের কেন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন সোমেন। তিনি বলেন, ‘‘আগে কথায় কথায় সিবিআই তদন্ত চাইতেন মুখ্যমন্ত্রীই। এখন সিবিআই তদন্তে তার ভয় কিসের?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy