পুরভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ২১ এপ্রিল থেকেই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ নিতে চিঠি পাঠানোয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল।
২৫ এপ্রিল ভোট। সে কারণে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের জন্য ওই সমস্ত স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক দিন আগে নিলেই যথেষ্ট বলে রিটার্নিং অফিসারের দফতরের আধিকারিকদের একাংশই মনে করছেন। অথচ তিন দিন আগে থেকে স্কুল নেওয়ার জন্য কেন বলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন না তাতে ২১ এপ্রিল থেকেই স্কুলগুলি বন্ধ রাখতে হবে টানা ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এর পরেই সোমবার শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দফতরের তরফে শিলিগুড়ি সার্কেলের দায়িত্বে থাকা এসআই-দের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৩ এপ্রিল স্কুল করার পর বিকেল থেকে স্কুল বন্ধ রেখে নির্বাচনের কাজের জন্য দিলেই চলবে।
শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ওসি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘২১ এপ্রিল চিঠিতে বলা হলেও ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত অবশ্য আমাদের স্কুলগুলি প্রয়োজন হচ্ছে না। সে কারণে সার্কেল ইন্সপেক্টরদের ফোন করে ২৩ এপ্রিল বিকেলের পর থেকে স্কুল দিলেই চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে তিন দিন আগে থেকে যাতে স্কুল বন্ধ করতে না হয় তা জানানো হয়েছে।’’
শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মুকুল কান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সরাসরি কমিশন থেকে কিছু জানানো হয়নি। সে কারণে নিবার্চন কমিশনের তরফে যে ভাবে স্কুলগুলিকে বলা হচ্ছে সেই ভাবে তারা যেন স্কুল ছুটির ব্যবস্থা করেন সে কথা জানানো হয়েছে।’’ একই কথা জানিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) প্রাণগোবিন্দ সরকার।
রিটার্নিং অফিসারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সে কারণে ২৫ এপ্রিল ভোটের জন্য স্কুল ক্যাম্পাস নেওয়া হবে বলে ওই দিন তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা অন্যত্র করতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া ২৭ এপ্রিল পুনর্নির্বাচনের জন্য ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠান দরকার হলে কী করা হবে তা পরে জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy