প্রহৃত: চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুপারকে। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগিণীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল সুপারকে মারধরের অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে। শনিবার বিকেলের ঘটনা।
হাসপাতাল চত্বরে আধঘণ্টা ধরে তুলকালাম চলে। মৃতার পরিজনেরা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডলকে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। আহত সুপারকে হাসপাতালেরই সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে পরিবারের সদস্যরা পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভর্তি হওয়ার পর থেকে সুপারের দু’বার বমি হয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার কন্যা সন্তান প্রসবের পর এ দিন বিকেলে সবিতা দাসের (২২) মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুর থেকে সবিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের খবর দেওয়ার আর্জি জানালে নার্স ও কর্মীদের একাংশ দুর্বব্যহার করে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতির অবনতি হলে শনিবার দুপুরে সবিতাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু গায়ে হাত তোলার অধিকার কারও নেই।’’ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃতার পরিবার। মৃতার স্বামী গোপাল দাসের দাবি, ‘‘প্রসবের পরে আমার স্ত্রী ভালই ছিল। শুক্রবার থেকে রক্তপাত শুরু হয়। বারবার বলেও চিকিৎসকরা আসেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy