প্রশাসক: চ্যাংরাবান্ধার সভায় মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
তড়িঘড়ি সাফসুতরো করে চকচকে তোলা হল ‘তোর্সা’, ‘তিস্তা’। বাদ যায়নি ‘কালজানি’ ‘মানসাই’, ‘সঙ্কোশ’, ‘রায়ডাক’ও। সোমবার রাতেও চলল কাজ। এ সব আসলে নদীর নামে নামাঙ্কিত কোচবিহার সার্কিট হাউসের ঘর। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কথা মাথায় রেখে জেলা সদর কোচবিহারের সার্কিট হাউস ও লাগোয়া চত্বর পুরো সাজিয়ে তোলা হয়। সাফসুতরো তো বটেই দেওয়াল থেকে প্রবেশ গেটের বারান্দার সামনে দেওয়া হয়েছে রঙের প্রলেপ। মঙ্গলবার সকালেও গোটা সার্কিট হাউস চত্বর একপ্রস্থ ঝাড়পোঁছ হয়েছে। সার্কিট হাউসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে রাখা হয়েছে পুলিশের নজরদারিও।
প্রশাসন ও পূর্ত দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সার্কিট হাউসে ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধায় বৈঠক করেন। জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই সার্কিট হাউস রঙ করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। সেইমত কাজও চলছিল। তবে মাঝে বৃষ্টিতে সাময়িক সমস্যা হয়। তারজেরেই সোমবার রাতেও বাকি কিছু কাজ করতে হয়। তবে শেষমূহূর্তে পরিকল্পনা মত কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরে স্বস্তির ছাপ দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত ও প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে।
প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য দাবি, সার্কিট হাউসের রুটিন সংস্কার কাজ হয়েছে। পূর্ত দফতরের কোচবিহারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নিমাই পাল বলেন,“রক্ষনাবেক্ষণে সাধারণ কিছু কাজ করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই সার্কিট হাউস সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। মঙ্গলবার কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হতেই ওই ব্যাপারে বাড়তি জোর দেওয়া হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার শহরে আসবেন কিনা তা অবশ্য এদিনও ঠিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার উত্তরকন্যাতে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য জানান, জেলায় মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। উত্তরবঙ্গে থাকছেন। বিশেষ কারণে আচমকা কোচবিহারে আসতে হলেও যাতে সমস্যা না হয় তা মাথায় রেখে সার্কিট হাউস তৈরি রাখার ব্যাপারে খামতি রাখা হয়নি। ভবনের রক্ষণাবেক্ষনের কাজও জরুরি ছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারাও হল।
সার্কিট হাউসের সামনে ‘ওয়াকিং স্পেস’ও ঝা চকচকে করে তোলা হয়েছে। আগে মুখ্যমন্ত্রী সার্কিট হাউসে থাকার সময় সেখানে পায়চারি করেছেন বলেও দাবি এক আধিকারিকের। শহরের বাসিন্দাদের কয়েকজনের কথায়, রাজাদের আমলে তৈরি ওই সার্কিট হাউস কোচবিহারের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ভবন। পর্যটকেরাও অনেকে কোচবিহারে এলে ভবনটি দেখার টান এড়াতে পারেননা। ভিভিআইপি’দের সফরে ভবনটি বাড়তি গুরুত্ব পায়। অভিযোগ, অন্য সময় ভবনটিকে রক্ষণাবেক্ষনে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়না। যদিও পূর্ত দফতর সূত্রের বক্তব্য, ওই বক্তব্য ভিত্তিহীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy