Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

আবার সার্কিট বেঞ্চ দেখতে এল দল

ফের পরিদর্শনের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো। শনিবার দুপুর থেকে ধোয়ামোছা শুরু হয়েছে অস্থায়ী আদালত ভবন। বিচারপতিদের আবাসন তিস্তা ভবন এবং জুবিলি পার্কের নবনির্মীত বাংলোর সামনের বাগানেও চলছে পরিচর্যা।

ব্যস্ততা: সার্কিট বেঞ্চের জন্য বসল বিদ্যুতের সাব স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ততা: সার্কিট বেঞ্চের জন্য বসল বিদ্যুতের সাব স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৪
Share: Save:

ফের পরিদর্শনের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো। শনিবার দুপুর থেকে ধোয়ামোছা শুরু হয়েছে অস্থায়ী আদালত ভবন। বিচারপতিদের আবাসন তিস্তা ভবন এবং জুবিলি পার্কের নবনির্মীত বাংলোর সামনের বাগানেও চলছে পরিচর্যা।

আজ রবিবার সকাল থেকে সার্কিট বেঞ্চ পরিদর্শন করার কথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য সহ বিচারপতি এবং হাইকোর্ট প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনের সময় যাতে সবকিছু ঠিকঠাক চলে তা নিশ্চিত করতে শনিবার দুপুর থেকে কয়েক দফায় সব ভবনে কাজের তদারকি করেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক, সদর মহকুমা শাসক সহ অন্য আধিকারিকেরা। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “এতদিন ধরে নির্মাণ কাজ চলছে। বাগান, ভবনে ধুলোর স্তর পড়েছিল। সেগুলি সাফাই করা হয়েছে।”

সার্কিট বেঞ্চের আদালত ভবনে চারটি এজলাস তৈরি হয়েছে। সেগুলি ক্রমিক সংখ্যায় চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দিনই এজলাসে কম্পিউটার বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সবকটি এজলাসে বসানোর জন্য ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে প্যানেল বোর্ডও চলে এসেছে। কার এজলাসে কোন মামলা চলছে সবই বোর্ডে ফুটে উঠবে। তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সার্ভারও, সেই কাজ করছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ওয়েবেল। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। জলপাইগুড়ির আইনজীবী তথা বার কাউন্সিল সদস্য গৌতম দাস বলেন, “হাইকোর্ট প্রশাসন সন্তুষ্ট হলে জলপাইগুড়ির জন্য কোনও সুখবর থাকতে পারে। আমরা আশাবাদী।”

প্রধান বিচারপতি ও অন্য বিচারপতিরা শনিবারই শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। আজ সকালে জলপাইগুড়ি এসে পরিদর্শন করে এ দিনই কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা। আজ জলপাইগুড়ি আসার কথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেরও। তবে কখন থেকে পরিদর্শন শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে হাইকোর্টের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়নি। এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা ভোর থেকেই তৈরি হয়ে অপেক্ষা করব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE