শিবরাত্রি উপলক্ষে ভিড় ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে। শনিবার ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক।
মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার ও চাঁচলের হাতিন্দায় শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন শিবরাত্রি মেলা। শুক্রবার শিবচতুর্দশী উপলক্ষে শনিবার থেকে ওই মেলা শুরু হয়েছে। ভালুকায় মেলা চলবে ১০ দিন ধরে। আর চাঁচলের মেলাটি দু’দিনের।
শনিবার প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে ফুলহারের পাড়ে ভালুকাবাজার এলাকার ওই মেলা। মেলায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ আসেন। মালদহ ও দুই দিনাজপুর ছাড়াও লাগোয়া বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও ভিড় জমান একাধিক মানুষ।
১০৯ বছর আগে স্থানীয় জমিদার প্রয়াত হরিমোহন মিশ্র ভালুকার মেলার সূচনা করেছিলেন। নদীর তীরে ৮০ বিঘা জমির উপর বিশাল মন্দিরও তৈরি করেছিলেন। শোনা যায়, কাশী থেকে শিবলিঙ্গ-সহ দেবদেবীর বিগ্রহ নিয়ে এসে ওই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে নদী ভাঙনে মন্দিরটি তলিয়ে যায়। পরে ফের নতুন মন্দির গড়ে পুজো শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁদের উদ্যোগেই পুজো ও মেলা হয়ে আসছে। মেলার পুরনো জৌলুস আজও হারায়নি। আগের তুলনায় ধারে ভারে মেলার বহর আরও বেড়েছে। মূল মেলা স্থানীয় একটি লিচুবাগানে বসলেও গোটা ভালুকাবাজার জুড়েই দোকানপাট বসে। এখানকার মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কাঠের আসবাবপত্র। উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে কাঠের আসবাবপত্র নিয়ে মেলায় হাজির হন ব্যবসায়ীরা।
চাঁচল থেকে চার কিলোমিটার দূরে হাতিন্দার মেলার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছেন চাঁচল রাজা। কথিত আছে রাজার অনুমতিতে কাশীধাম থেকে শিবলিঙ্গ নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেখানকার মন্দিরে। দু’দিনের ওই মেলায় ভিড় জমান গোটা মহকুমার বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy