ক্ষিপ্ত: খাঁচায় বন্দি হওয়ার পরে গর্জন চিতাবাঘটির। মঙ্গলবার বড়দিঘি চা বাগানে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
এলাকার ত্রাস হয়ে দাপিয়ে বেড়িয়ে অবশেষে বন্দি হল চিতাবাঘ।
ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা চা বাগান বড়দিঘিতে মঙ্গলবার ওই চিতাবাঘটি বন দফতরের পাতা ফাঁদে বন্দি হয়। বন দফতর জানিয়েছে, ওই পুরুষ চিতাবাঘটির বয়স আনুমানিক তিন বছর।
বড়দিঘি চা বাগানের বড়া লাইনে কিছুদিন ধরেই বন দফতরের তরফে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু পাতা ফাঁদে না এসে শ্রমিক মহল্লাতে হানা দিয়ে যাচ্ছিল চিতাবাঘ। হাঁস, মুরগি, ছাগল এমনকী, বাছুরও তুলে নিয়ে যাচ্ছিল চিতাবাঘ। বাগানের ধার ঘেঁসেই গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া জলপাইগুড়ি বন বিভাগের লাটাগুড়ি রেঞ্জের জঙ্গল। সেই জঙ্গল থেকেই চিতাবাঘটি চা বাগানে ঢুকে পড়েছিল। মূলত সহজ খাবারের লোভেই জঙ্গলের বদলে চা বাগানেই চিতাবাঘটিকে বেশি দেখা যাচ্ছিল বলেই মনে করছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার সকালেই চাপড়ামারির খুনিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয় চিতাবাঘটিকে। সেখানেই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় সেটিকে।
এ দিকে বন্দি হওয়ার পর রাগে ক্ষিপ্ত হয় চিতাবাঘটি লোহার গারদের শিকে মাথা এবং মুখ দিয়ে আঘাত করে করে রক্ত ঝরিয়ে দেয়। মুখের ওপরের পাটির একটি বড় ধারালো দাঁতও ভেঙে যায় চিতাবাঘটির। তবে মুখ রক্তাক্ত হলেও শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে বলেই বন দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে।
দক্ষিণ গরুমারা রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “চিতাবাঘ জঙ্গল এবং চা বাগানের এই লাগোয়া এলাকাগুলিতেই বিচরণ করতে বেশি ভালোবাসে। তবে এই চিতাবাঘটি যাতে আর বড়দিঘি বাগানে ফিরতে না পারে সেজন্যেই প্রায় ২৫ কিমি দূরের চাপড়ারির জঙ্গলে সেটিকে ছাড়া হয়েছে।”
তবে একটি চিতাবাঘ বন্দি হলেই সমস্যা মিটবে কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন শ্রমিকেরা। বাগানে আরও একাধিক চিতাবাঘ থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy