Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
South Eastern Railway

বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পও দেখবেন জিএম

উত্তরবঙ্গে রেলের সে রকম প্রকল্প গত কয়েক বছরে হয়নি বলেই দাবি তৃণমূলের। এনজেপি থেকে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাব এখনও দূর-অস্ত্ বলেই রেল সূত্রে দাবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শান্তশ্রী মজুমদার
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৫
Share: Save:

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে ভাল ফল করে বিজেপি। কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক, রেল উত্তরবঙ্গে সে রকম কিছু উন্নতি করেনি বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। কখনও দার্জিলিং মেলের মতো ট্রেন সরিয়ে বিতর্ক টানা হয়েছে, কখনও বালুরঘাট থেকে হিলি প্রকল্পে সময় মত ক্ষতিপূরণের টাকা না দিয়ে প্রকল্পে দেরির অভিযোগ রয়েছে। সব বিষয় নিয়ে এলাকার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম অংশুল গুপ্ত। ২৬ সেপ্টেম্বর এনজেপিতে বৈঠক ছাড়াও, একলাখি-বালুরঘাট এবং বালুরঘাট-হিলি (প্রস্তাবিত) প্রকল্প খতিয়ে দেখতে যাওয়ার কথা।

উত্তরবঙ্গে রেলের সে রকম প্রকল্প গত কয়েক বছরে হয়নি বলেই দাবি তৃণমূলের। এনজেপি থেকে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাব এখনও দূর-অস্ত্ বলেই রেল সূত্রে দাবি। এর মধ্যে নতুন কী আলোচনা করবেন সাংসদরা? দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তার দফতর থেকে বলা হয়েছে কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। রেল সূত্রে খবর, এনজেপি স্টেশনের ভোল বদলের কাজ দ্রুত শুরু করা এবং কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ানোর প্রস্তাব সাংসদদের তরফে দেওয়া হতে পারে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনে বালুরঘাট-হিলি প্রকল্প নিয়ে জিএমের পরিদর্শন এই প্রথম। এই সফরে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়া, বালুরঘাট-হিলি প্রকল্পই নজরে থাকবে বলে দাবি রেলের কর্তাদের। কিন্তু প্রস্তাবিত ওই ৩০ কিলোমিটার লাইন নিয়ে নানা জটিলতা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে। এর আগে, জমি অধিগ্রহণ হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা সময়ে আসেনি বলে রাজ্য সরকার এ বারে তা আগাম চেয়েছিল। কিন্তু তার উপায় নেই বলে রেল জানিয়ে দিয়েছে। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘এনজেপিতে এলাকার সাংসদদের নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে। তা ছাড়াও, বালুরঘাট-হিলি প্রস্তাবিত রেল প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য মত বদলাতে পারে। কাজটি যাতে দ্রুত শুরু হয়, সে জন্যই পরিদর্শন।’’ জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রকল্পের কাজ মাত্র ১৩ শতাংশ এগিয়েছে বলে দাবি রেলের। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণের টাকা আগাম দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য পুনর্বিবেচনা করছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’’

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বালুরঘাট-হিলি প্রকল্পের খরচ ছিল পৌনে পাঁচশো কোটি টাকা। তার মধ্যে জমি অধিগ্রহণেই প্রায় দেড়শো কোটি টাকা প্রয়োজন। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ওই সফরে থাকবেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমরাই বালুরঘাট-হিলি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রেলমন্ত্রীর মাধ্যমে জিএমকে আসার অনুরোধ করেছিলাম। প্রকল্পে টাকা কোনও বাধা হবে না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

South Eastern Railway Archana Joshi (GM) Balurghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy