Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Anit Thapa slams Gurung

নাম না করে গুরুংকে কটাক্ষ করলেন অনীত

২০১৭ সালে পাহাড়ে ভাষার স্বীকৃতি এবং রাজ্যের নামে আন্দোলনে নামেন বিমল গুরুং। পরে, আন্দোলন রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে। বহু মোর্চা সমর্থক গুলিতে মারা যান।

শুক্রবার দুপুরে ণিরিকের আলে খেলার মাঠে দলের জনসভা।

শুক্রবার দুপুরে ণিরিকের আলে খেলার মাঠে দলের জনসভা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২১
Share: Save:

একদা রাজনৈতিক গুরু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের নাম না করে তাঁকে ‘মহা বেইমান’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। শুক্রবার দুপুরে মিরিকের আলে খেলার মাঠে দলের জনসভা থেকে এমনই অভিযোগ করেছেন। আলাদা রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে অনীত জানান, পুরোটাই কেন্দ্রের বিষয়। জিটিএ এই বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছে। দল ভাঙার পরে, তাঁর বিরুদ্ধে জাতির প্রতি বেইমানি করার অভিযোগ তোলা হয়।

মিরিকের সভায় অনীত বলেন, ‘‘আমাকে বেইমান বা গদ্দার বলা হয়। কিন্তু আমি জাতিকে বাঁচানোর কাজ করেছি। আমার পাল্টা প্রশ্ন, যাঁরা ও সব বলেন, তাঁরা কী করেছেন! জাতির নামে বছরের পর বছর রাজনীতির ব্যবসা করেছেন। এদেরই মহা বেইমান বলা যায়।’’

২০১৭ সালে পাহাড়ে ভাষার স্বীকৃতি এবং রাজ্যের নামে আন্দোলনে নামেন বিমল গুরুং। পরে, আন্দোলন রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে। বহু মোর্চা সমর্থক গুলিতে মারা যান। এক পুলিশ অফিসার খুন হন। গুরুং পাহাড় ছেড়ে আত্মাগোপন করেন। তখন বিনয় তামাং এবং অনীত রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে ১০৪ দিনের বন্‌ধ তুলে পাহাড়কে স্বাভাবিক করার কাজে নামেন। সাড়ে তিন বছর পরে, গুরুং পাহাড়ে ফিরলেও, তাঁর দলের সংগঠন ততদিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে অনীতদের বিরুদ্ধে রাজ্যের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তুলে ‘বেইমান, গদ্দার’ অভিযোগ করেন। যদিও পরে রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়েই গুরুং পাহাড়ে ফিরেছেন। এ দিন অনীতের বক্তব্যের প্রসঙ্গে গুরুং বা তাঁর দলের কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

মিরিকের সভার পরে অনীতের দলের তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের বি‌ভিন্ন দলের ২,৫০০ জন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের পাহাড়ের অন্যতম নেতা বিন্নি শর্মা এ দিন অনীতের হাত থেকে পতাকা নিয়ে দলবদল করেন। বিন্নি বলেছেন, ‘‘আঞ্চলিক দলকে পাহাড়ে বাঁচানোর লড়াইয়ে যোগ দিলাম।’’ আলাদারাজ্য প্রসঙ্গে অনীত জানান, কোনও সময় নিশ্চয়ই গোর্খা-দরদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে। তারা গোর্খাদের দাবি মেনে কাজ করবে। ততদিন নিজেদের পরিকাঠামো এবং উন্নয়নের কাজে মন দেওয়া দরকার।

সভার পরেই মিরিকে দলের নতুন একটি শাখা সংগঠনের ঘোষণাও করা হয়েছে। ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল পঞ্চায়েতকর্মচারী সংগঠন’ নামের নতুন সংগঠনটি পাহাড়ের পঞ্চায়েত স্তরের একমাত্র সরকারি কর্মীদের সংগঠন বলে জানানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Siliguri Gorkhaland
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy