শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার তরুণী। প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালের সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বছর আটাশের এক তরুণী। আর তাঁকে ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধছে। এই ঘটনা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বরের।
বুধবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বরে এক তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই তরুণী ঘোরের মধ্যে ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পথচারীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি অসমের গোঁসাইগাও এলাকায়। তাঁর বিয়ে হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে। বছর ছয়েকের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁর। তবে স্বামীর সঙ্গে তাঁর এখন আর সম্পর্ক নেই। তরুণীর দাবি, মদন বিশ্বাস নামে এলাকার এক বাসিন্দা তাঁকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁকে তিন জন অপরিচিত যুবকের হাতে তুলে দেন। ওই তিন যুবক তাঁকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যান। তরুণীর দাবি, ওই তিন যুবক তাঁকে জল খাওয়ান। এর পর তিনি ঘোরের মধ্যে চলে যান। এর পর তাঁর থেকে মোবাইল এবং টাকাপয়সা যা ছিল তা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তরুণী আরও জানিয়েছেন, ঘোর কাটতে তিনি টের পান তাঁকে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। সেই ঘরে কাচের বড় বড় জানালাও দেখতে পান তিনি। সেখানে তিনি তিন জন যুবক এবং দু’জন মহিলাকে দেখতে পান। তরুণীর দাবি, তারা তাঁর উপর অত্যাচার চালাত। মহিলাদের এক জনের নাম শ্রাবন্তী এবং অন্য জনের নাম দিশা।
তরুণী আরও জানিয়েছেন, তাঁকে প্রতি দিনই মাদক মিশ্রিত জল খাওয়ান হত। ঘর থেকে বেরোলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ তাঁর। বুধবার তিনি কী ভাবে ‘বন্দিদশা’ কাটিয়ে বেরিয়ে পড়েন তা অবশ্য পুলিশকে জানাতে পারেননি ওই তরুণী। তাঁর দাবি, মাটিগাড়া খাপরাল মোড় সংলগ্ন কোনও এলাকায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিন যুবকের মধ্যে এক জন নেপালি এবং অন্য দু’জন বাঙালি ছিলেন বলেও জানিয়েছেন ওই তরুণী।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই তরুণী। ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। তাঁর সারা শরীরের অত্যাচারের চিহ্নও রয়েছে। তাঁর উপর যৌন অত্যাচার চালানোও হয়েছিল কি না তা পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা।
তরুণীর থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মহিলাকে বেচে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল ওই চক্রটি। শহর জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy