শব্দবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল খোদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, শুক্রবার জলপাইগুড়িতে আয়োজিত উত্তরবঙ্গ উৎসবে মাঝ রাত পর্যন্ত তারস্বরে বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান চালানো হয়৷ জেলার সরকারি কর্তারা অভিযোগের সত্যতা মানতে না চাইলেও, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শুরু হয় উত্তরবঙ্গ উৎসব৷ বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধে থেকে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান৷ স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতা ও মুম্বইয়ের শিল্পীরাও আমন্ত্রিত ছিলেন৷ কিন্তু অভিযোগ, প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত তারস্বরে বক্স বাজিয়ে চলে অনুষ্ঠান৷ বক্সের শব্দ স্পোর্টস কমপ্লেক্স লাগোয়া এলাকা ছাড়িয়ে প্রায় গোটা শহর জুড়েই শোনা যায়৷ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন রাজবাড়ি পাড়া, রায়কত পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, হাকিম পাড়া, সেন পাড়া, দিনবাজারের বাসিন্দারা৷
নভেম্বর মাসে কালী পুজোর ঠিক পরে জলপাইগুড়ি শহরের যুবমঞ্চ ক্লাব ও শহর লাগোয়া পাতকাটার একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল৷ কিন্তু এ বার সরকারি অনুষ্ঠানেই এই অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে৷ রায়কত পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রশাসনের অনুষ্ঠানেই যদি এ ভাবে শব্দবিধি ভাঙা হয়, তা হলে বাকিরা তো একই কাজ করবেই৷’’
শুক্রবার সন্ধেয় উত্তরবঙ্গ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ রাতে জলপাইগুড়ি শহরেই সার্কিট হাউসে থাকেন তিনি৷ তাঁর কথায়, “রাত ন’টা নাগাদ অনুষ্ঠান স্থল ছেড়ে সার্কিট হাউসে চলে যাই৷ তার পর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পরি৷ বক্সের আওয়াজ শুনতে পাইনি৷” জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সির কটাক্ষ, “উৎসবের নামে শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত যে ভাবে বক্স বাজিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যায় ফেলা হল, তা এই সরকারের কাছে প্রত্যাশিত৷”
যদিও জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, মাঝ রাত পর্যন্ত বক্স বাজিয়ে উত্তরবঙ্গ উৎসবের অনুষ্ঠান করা হয়েছে এমন অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেননি৷ একই কথা বলেন জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদারও৷ আর উৎসব কমিটির সচিব তথা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক জগদীশচন্দ্র রায়ের দাবি, “নিয়ম মেনে রাত দশটাতেই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়েছিল৷” তবে রবীন্দ্রনাথবাবু অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy