অমান্য: নির্দেশ না মেনেই চলছে বিক্রি। জলপাইগুড়িতে।—নিজস্ব চিত্র।
দিনের বেলাতে সজাগ থাকছেন সবাই৷ কিন্তু পুরকর্মীদের অভিযান বন্ধ হতেই বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে ব্যবসায়ীদের একাংশ ফের প্লাস্টিকের ক্যারিবাগ ব্যবহার করে জিনিস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে৷
অভিযোগ, এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে কিছু শপিংমল ও রেস্তোরাঁয়৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ি পুরসভার কর্তারা সাফ জানিয়েছেন, পুরসভার নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে শপিংমল ও রেস্তঁরার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করবেন তারা৷
এর আগেও জলপাইগুড়িতে একাধিকবার প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল পুরসভা৷ কিন্তু নজরদারির অভাবে কখনই স্থায়ীভাবে তা বন্ধ হয়নি৷ জুন মাসে ফের একবার প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুরসভা৷ ১০ জুলাই থেকে শুরু হয় অভিযান৷ প্রায় এক মাস ধরে চলা এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ভুরি ভুরি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকলের জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন পুরকর্মীরা৷ ১অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে জরিমানা করাও৷
পুরসভা সূত্রের খবর, এই অভিযানের ফলে শহরের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ৷ পুরকর্মীদের একাংশের কথায়, শিলিগুড়ি থেকে এখনও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ শহরে ঢুকছে৷ দিনের বেলায় অভিযান শেষ হতেই বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে সেগুলো ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ৷
বুধবার ও বৃহস্পতিবার শহরের দু’টি শপিং মলে হানা দিয়ে কয়েকশো কেজি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেন পুরকর্মীরা৷ জরিমানাও করা হয়। কিন্তু এতকিছুর পরেও কিছু শপিংমল প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করছে না৷ শহরের একটি রেস্তরাঁর এক কর্মী বলেই দিলেন, ‘‘আমাদের এখানে যারা খাবার প্যাকিং করে নিয়ে যান এবং তাঁরা যে শ্রেণির লোক তাতে তাদের হাতে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দেখলে কেউ কিছু বলবে বলে মনে হয় না৷’’
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, ‘‘পুর আইন বা পুরসভার নির্দেশ সবার জন্য সমান৷’’ সেই নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে পুরসভা সেই ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy