Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
SET 2024 preparation Tips

সামনেই সেট! শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কী ভাবে নেবেন? মুশকিল আসান বিশেষজ্ঞের অভিমতে

পড়াশোনার পাশাপাশি, নিজেকে চিন্তামুক্তও রাখতে হবে। তবেই পরীক্ষার সময় সঠিক উত্তর লিখতে সমস্যা হবে না।

SET 2024.

প্রতীকী চিত্র।

স্বর্ণালী তালুকদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১
Share: Save:

১৫ ডিসেম্বর স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)। হাতে এক মাসেরও কম সময় রয়েছে। যে হেতু খুব বেশি সময় নেই, তাই পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য উদ্বেগের পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই সময় মাথা ঠান্ডা রেখে বেশ কিছু বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। এই সমস্ত বিষয়েই পরামর্শ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপ-সচিব পার্থ কর্মকার।

প্রশ্ন: হাতে আর কয়েকটা সপ্তাহ। এর মধ্যে সেট ২০২৪-এর জন্য যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের কী বলবেন?

পার্থ কর্মকার: প্রথমেই সমস্ত পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানাই। সকলের পরীক্ষাই ভাল হবে। এর পর বলব, পরীক্ষা হওয়ার আগের কয়েকটা সপ্তাহের প্রস্তুতির প্রথম পর্বে পরীক্ষার পাঠ্যক্রম খুঁটিয়ে দেখতে হবে। এতে যিনি পরীক্ষা দেবেন, তাঁর কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে, যে কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে এখনও চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমের সঙ্গে নোটসের খাতাও মিলিয়ে দেখতে হবে।

প্রশ্ন: পাঠ্যক্রম মিলিয়ে দেখতে গিয়ে হয়ত কেউ দেখল, কিছু বিষয়গুলি হয়ত কম পড়া হয়েছে, বা পড়াই হয়নি! সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?

পার্থ কর্মকার: পাঠ্যক্রম মিলিয়ে দেখার পর যে সমস্ত বিষয়গুলি বাদ পরে গেছে কিংবা কম পড়া হয়েছে, সেগুলির চর্চা করতেই হবে। একই সঙ্গে, পুরোটা রিভিশন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে দিনের বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে চর্চা করা যেতে পারে। তবে, কোনও বিষয়ই যেন পরীক্ষার আগে অজানা না থাকে, তা মাথায় রাখতে হবে।

প্রশ্ন: পড়াশোনা তো থাকছেই, মক টেস্টও কী দরকার?

পার্থ কর্মকার: আগের বছর কী প্রশ্ন এসেছিল, এবং সেই প্রশ্নের উত্তর কত সময়ের মধ্যে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে চর্চা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রিভিশন সম্পূর্ণ হলেই মক টেস্ট দেওয়া শুরু করা প্রয়োজন। কোন কোন প্রশ্নের ক্ষেত্রে কতটা সময় লাগছে বা কোন বিষয়টির জন্য আরও পড়াশোনার প্রয়োজন— এই মক টেস্ট বা পুরোনো প্রশ্নের চর্চা করতে করতেই বেশ কিছু বিষয় জানা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)-এর প্রশ্নপত্রের চর্চা করলেও ক্ষতি নেই।

প্রসঙ্গত, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ পদে আবেদনের সুযোগ পাবেন। এই পরীক্ষাটি পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিসিএসসি)-এর তরফে পরিচালিত হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy