গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
স্কুলগুলির তরফে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েবের কয়েকটি অভিযোগ আগেই হয়েছিল। তাতে তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে এ বার স্কুল পরিদর্শকের তরফে ট্যাবের টাকা গায়েবের অভিযোগ দায়ের হতে চলেছে দার্জিলিং শিক্ষা-জেলায়। আজ, মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। দার্জিলিং জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমস্ত স্কুল থেকে টাকা গায়েবের হিসেব নেওয়া হয়েছে। কত পড়ুয়া টাকা পায়নি, তা জেনে পুলিশকে জানানো হয়েছে। স্কুল পরিদর্শকের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের কথা বলা হবে।’’
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিং পাহাড়ে ১৩টি স্কুলের ২৪০ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে। শুধু দার্জিলিং নেপালি গার্লস হাই স্কুল থেকেই ১৪০ জন পড়ুয়া টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তার পর থেকে তদন্তের অগ্রগতির দাবি ওঠে। কালিম্পঙে ট্যাবের টাকা গায়েবের তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল কালিম্পং পুলিশ। তার পর থেকে পাহাড়ের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েবের জোরালো দাবি ওঠে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের তরফে ট্যাবের তদন্তে গঠিত ‘সিট’-এর তরফেই পাহাড়ের অভিযোগগুলি চাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙের এসপি শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। ধৃত ব্যক্তিকে জেরা করা হয়েছিল। নজর রাখা হচ্ছে।’’
পাহাড়ের এই দুই শিক্ষা জেলার সঙ্গে শিলিগুড়ি শিক্ষা-জেলাতেও যে পড়ুয়াদের টাকা গায়েব হয়েছিল তাদের কাছে নতুন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়াদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়িতে সে রকম এ দিন ৪৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে ৪০ জন পড়ুয়ার টাকা গায়েব হয়েছিল বলে শিক্ষা জেলার তরফে জানানো হয়েছিল। পরে আরও আট জন বেড়েছে বলে দাবি। এ দিন বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র তরফে শিলিগুড়ি স্কুল পরিদর্শকের অফিস অভিযান হয়েছে। ট্যাব-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা। ট্যাব-কাণ্ডের দায় যে রাজ্য শিক্ষা দফতর এড়াতে পারে না সেই অভিযোগ তুলেছে এবিটিএ। পাল্টা শিলিগুড়ির তৃণমূলের শিক্ষক নেতা সুপ্রকাশ রায় বলেন, ‘‘হ্যাকিংয়ের ঘটনার তদন্তে প্রশাসন সক্রিয়। বামেরা হাওয়ায় রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy