Advertisement
E-Paper

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ দিয়েই বিপত্তি? ট্যাব-কাণ্ডে ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার আরও এক

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ট্যাবের টাকার জালিয়াতির উৎসস্থলই উত্তর দিনাজপুর। আরও স্পষ্ট করে বললে চোপড়া! এ বার সেই উত্তর দিনাজপুর থেকেই গ্রেফতার আরও এক।

One more arrest in tab row from North Dinajpur

ট্যাব-কাণ্ডে গ্রেফতারি বেড়ে ২৫! গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০১
Share
Save

পশ্চিমবঙ্গের ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় বার বার উঠে আসছে উত্তর দিনাজপুরের নাম। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ট্যাবের টাকার জালিয়াতির উৎসস্থলই উত্তর দিনাজপুর। আরও স্পষ্ট করে বললে চোপড়া! এ বার সেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার এক যুবক। তবে তাঁর দাবি, ট্যাবের টাকা হাতানোর ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানেন না তিনি। স্থানীয় এক জনকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন। গন্ডগোল হয়েছে সেখানেই।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েই ট্যাব জালিয়াতি চলছে! তদন্তে উঠে এসেছে এমন নানা তথ্য। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্বার্থে ট্যাব কেনার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকছে না। কোথাও কোথাও আবার এক জনের টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে জড়িয়ে এক বড় চক্র! সাইবার অপরাধীরা জাল পেতে পড়ুয়াদের টাকা আত্মসাৎ করছে। অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে কেউ পেশায় কৃষক, কেউ আবার শ্রমিক। রয়েছেন শিক্ষকও। গত শনিবার কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মনোজিৎ বর্মণ নামে এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সেই মনোজিৎকে জেরা করেই হবিবপুর থানার পুলিশ জানতে পারে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা সাবির আলমের নাম।

মনোজিতের বয়ানের ভিত্তিতেই সোমবার রাতে ইসলামপুরে হানা দিয়ে সাবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, ট্যাবের বরাদ্দ টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। তবে মনোজিতের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই মনোজিতের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১৫-২০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন। অভিযোগ, তার মধ্যে আটটি অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেলেঙ্কারির টাকা ঢুকেছে। ওই শিক্ষকের সব অ্যাকাউন্টই ‘ফ্রিজ়’ করেছে পুলিশ।

যদিও ধৃত সাবির আলম জানান, তিনি ট্যাবের টাকা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিনি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন। মাটি কাটার টাকা ঢুকবে বলে কমিশনের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে বিপদে পড়েছেন। তবে তাঁর এই দাবির মধ্যে কতটা সত্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ট্যাব-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ২৫।

WB Tab Scam Tab Scam Tab

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।