এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বন্ধ ঘর থেকে এক যুবতীর গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভানুনগর এলাকায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ, কেউ ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন করেছেন। পরে দেহ পাচার করার ইচ্ছে ছিল। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পুষ্পা ছেত্রী। মালবাজারের গরুবাথানের বাসিন্দা তিনি। মাস সাতেক ধরে কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে এক বহুতলে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন পুষ্পা। সেখানকার এক পার্লারে কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে পরিবারের লোক এসে থাকতেন তাঁর সঙ্গে। তবে বেশির ভাগ দিন একাই থাকতেন। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ওই বহুতলের অন্য বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আর পুষ্পার দেখা পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সারদিন কেটে গেলেও কেউ তাঁকে ঘরের বাইরে দেখেননি। শুক্রবার বিকেলে অপরিচিত দু’জন এসে পুষ্পার খোঁজ করেন। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, ওই দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে পুষ্পার কথা জানতে চান অন্য এক ভাড়াটিয়ার কাছে। তবে ওই ভাড়াটিয়া শিউলি দে তাঁদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। জানতে চান, কেন পুষ্পার খোঁজ করছেন? সদুত্তর না মেলায় নিজেই তিন তলায় পুষ্পার ঘরে সামনে গেলে দেখা যায় ঘর বাইরে থেকে বন্ধ। তার পর শিউলি নীচে এসে ওই অপরিচিত দু’জনকে জানান পুষ্পা বাড়ি নেই।
শিউলির বক্তব্য, ওই দুই ব্যক্তি বড় বড় ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন। পুষ্পা নেই বলাতে ফিরে যান তাঁরা। কিন্তু খানিক বাদে আবার ফিরে আসেন। জোর করে পুষ্পার ঘরে ঢোকেন তাঁরা। দেখা যায় পুষ্পার গলাকাটা দেহ লুটিয়ে পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে। তড়িঘড়ি তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুলিশকে ঘটনাটা জানান৷ পুলিশকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ঘটনাস্থলে। পুলিশ পুষ্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে৷ তবে এখনই সবটা বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy