এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকেরা ভুল অস্ত্রোপচার করেছিলেন। তাতেই তাদের কন্যার মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় চিকিৎসকেরা তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের লোকেদের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন রানীতলা থানার আখরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেণীপুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা খাতুন। তাঁকে পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন আছে। সেই মতো হয় ব্যবস্থা। এক সন্তানের জন্মও দেন ওই মহিলা। তবে তার পর থেকেই সঙ্গীতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরিবারের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই ওই অবস্থা হয়েছিল তাদের মেয়ের।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সঙ্গীতাকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রথমে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বহরমপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সঙ্গীতাকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরিবারের দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে জানানো হয় অস্ত্রোপচার ঠিকমতো না হওয়ায় শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। নষ্ট হয়ে যায় কিডনি। আর তার ফলেই গত ৪ নভেম্বর মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালবাগ হাসপাতালে হাজির হয় মৃতার পরিবার। অভিযোগ, যে চিকিৎসক সঙ্গীতার অস্ত্রোপচার করেছিলেন তাঁকে বিষয়টি বলতেই মৃতার পরিবারের উপর চড়াও হন চিকিৎসকেরা। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ। মৃতার স্বামী তৌফিক হাসানের অভিযোগ, ‘‘ভুল অস্ত্রোপচারের কারণেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা কথা বলতে গেলে ডাক্তারের লোকজন আমাদের মারধর করেন।’’ যদিও ভুল চিকিৎসার কথা মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যানাল। তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা হয়েছে ওই মহিলার। কোথাও কোনও গাফিলতি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy