কয়েক মাসের সম্পর্ক। কিন্তু পরিবার মানেনি। সেই জন্য ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী হলেন যুগল। যদিও মৃতার বাড়ির দাবি, তাদের মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। সোমবার এই ঘটনায় শোরগোল মালদহের বামনগোলা থানা এলাকায়। জোড়ামৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে মৃত্যু হয় বামনগোলার যুবক ফুলটুস মণ্ডলের। ওই এলাকার বাসিন্দা রাখি মণ্ডলও মারা যান। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনেই বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন। দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
জানা যাচ্ছ, বামনগোলা হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রাখির বাড়ি রাখালপুকুর এলাকায়। গত দুর্গাপুজোয় রাখির সঙ্গে আলাপ হয় ফুলটুস নামে এক যুবকের সঙ্গে। ফুলটুস ছোটখাটো কাজ করতেন। কিছু দিনের মধ্যে দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু দুই পরিবারে জানাজানি হওয়ার পরে শুরু হয় গন্ডগোল। মেয়ের বাড়ি থেকে কেউই এই সম্পর্কে রাজি হননি। জটিলতা বাড়ে।
গত শনিবার গাজোল থানার আগমপুর এলাকায় এক বন্ধুকে ভিডিয়ো কল করেন যুগল। তার পরে তাঁরা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অচৈতন্য অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে দু’জনকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা নাগাদ রাখির মৃত্যু হয়। রাত ১টা নাগাদ মারা যান ফুলটুস।
আরও পড়ুন:
রাখির বাবা গোকুল মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ফুলটুস তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন। তিনি বলেন, ‘‘ওদের মধ্যে ভালবাসা ছিল কি না বলতে পারব না। তবে ওই যুবক আমার মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’ ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে যুবকের বাড়ি। দুই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চলছে মৃতদের পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ।