বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরাহ, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, ট্রেন্ট বোল্টদের মঞ্চে নায়ক রজত পাটিদার। মুম্বইয়ের মাটিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিলেন। দলকে কঠিন ম্যাচ জিতিয়ে খুশি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের বোলারদের।
সোমবার ম্যাচের পর পাটিদার বলেন, ‘‘দুর্দান্ত একটা ম্যাচ হল। কঠিন লড়াই ছিল। আমাদের বোলারেরা সাহসের সঙ্গে বল করেছে। এমন সাহসী লড়াই দেখতেও ভাল লাগে। ম্যাচের সেরা আসলে আমাদের বোলারেরা। এই ম্যাঠে কোনও দলের ব্যাটারদেরই আটকে রাখা সহজ নয়। অথচ ওরা ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছে। আমাদের জোরে বোলারেরা এক দম পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছে। ক্রুণাল পাণ্ড্যর শেষ ওভারটা তো অসাধারণ। ওই পরিস্থিতিতে বল করা বেশ কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই দারুণ ভাবে সামলে দিল। সাহস না থাকলে এই সময় ও রকম বল করা যায় না।’’
মুম্বইয়ের ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষেও মনে হচ্ছিল যে কোনও দল জিততে পারে। সেই ওভারের আগেই স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। তা নিয়ে পাটিদার বলেছেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে। প্রতিপক্ষের জন্য যতটা সম্ভব কঠিন করতে চেয়েছিলাম। তখনই শেষ করে নেওয়া হয় শেষ ওভার ক্রুণাল বল করবে।’’ মুম্বইয়ের ২২ গজ এবং নিজের ইনিংস নিয়ে বলেছেন, ‘‘এই পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল। এক দম পরিচিত মুম্বইয়ের উইকেট। বল দারুণ ভাবে ব্যাটে আসছিল। ভাল উচ্চতায় বল আসছিল। তবে হার্দিক পাণ্ড্যকে একটু দেখে খেলছি আমরা। ওর ওভার শেষ হওয়ার পর পুরো আক্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। চেষ্টা করেছি ইতিবাচক খেলার। মুম্বইয়ের বোলারদের চাপে রাখাই ছিল লক্ষ্য।’’
আরও পড়ুন:
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে বেঙ্গালুরু খেলিয়েছে সুযশ শর্মাকে। তা নিয়ে পাটিদার বলেছেন, ‘‘কারণ এই ধরনের ক্রিকেটে রিস্ট স্পিনারেরা খুব কার্যকর হয়। উইকেট তুলতে পারে। সে জন্যই সুযশকে খেলানো হয়েছে। ও কিন্তু খুব ভাল বল করল। যে দিক থেকে বল করছিল, সে দিকের বাউন্ডারি ছোট ছিল। তাও দারুণ বল করল।’’
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ