টিভির সামনে উদ্বিগ্ন পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।
পেশায় তিনি চিকিৎসক। জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ির বাসিন্দা বাসু বিয়ে করেছিলেন আফগানিস্তানের ছেলে সমরগুল খানকে। সেখানকারই এক হাসাপাতালে চিকিৎসক তিনি। সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের সময় তাই বাসুর পরিজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তালিবান রাজ কায়েম হওয়ার পর সেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। আশঙ্কায় ডুয়ার্সের বাসিন্দা সমরগুলের আত্মীয়েরাও।
ওদলাবাড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিধানপল্লির বাসিন্দা বাসুর দুই সন্তান আশরাফ এবং কাদির খানও এখন আফগানিস্তানে। পরিবার সূত্রের খবর, প্রায় দু’দশক দুই পরিবারের পরিচয় হয়। এরপর বাসু-সমরগুলের বিয়ে হয়েছিল। প্রথমে এ দেশে থাকলেও পরে সমরগুলের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁরা আফগানিস্তানে চলে যান।
বাসুর এক আত্মীয় বুধবার বলেন, ‘‘গত সপ্তাহ থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফোনে পাচ্ছি না।’’ সমরগুলের দাদা আমানুল্লা বলেন, ‘‘চারদিন আগে শেষ বার ভিডিও কলে কথা হয়েছিল। তখন ওরা প্রচণ্ড আতঙ্কিত ছিল। এমনকি, ভাই জানিয়েছিল সমস্ত খাবার প্রায় শেষ। বাজার পুরোপুরি বন্ধ। তাই দেশে ফিরতে চাইছিল। এর পর চার দিন আর যোগাযোগ যায়নি।’’
বাসুর আর এক আত্মীয় এলি ছেত্রী খান বলেন, ‘‘আমরা চাই সরকার যাতে দ্রুত ব্যবস্থা করে তাদের বাড়ি ফেরায়। আমার ননদ সুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসুক এটাই আমরা চাই। আফগানিস্তানে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আমার ননদ। তার স্বামীও সেখানে হাসপাতালে চাকরি করে। দুই সন্তান রয়েছে, তাঁরা ভারতে আসার জন্য ফোনে কাঁদছিলেন চারদিন আগে। তার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy