২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই আমেরিকা থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। দিল্লির পালম বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, তার পর থেকেই রানার আপাত ঠিকানা এনআইএ-র সদর দফতরের নীচতলার ১৯৬ বর্গফুটের সেল।
রাতেই রানাকে এনআইএ-র বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থাটি। ২০ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়। তবে ১৮ দিনের জন্য তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রানাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে ১৯৬ বর্গফুটের কুঠুরিতে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরো সেলটি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সিসিটিভির মাধ্যমে সর্ব ক্ষণের জন্য নজরদারিতে রাখা হয়েছে রানাকে। প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। রানা যাতে কোনও ভাবে নিজের ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য বিশেষ সতর্কতাও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, ওই সেলে শোওয়ার জন্য একটি বিছানা দেওয়া হয়েছে। রয়েছে একটি শৌচাগারও। এ ছাড়াও বহুস্তরীয় ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহারা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা ওই সেলের সামনে এক জন নিরাপত্তারক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছে। রানাকে জেরার জন্য ১২ জনের একটি দল গঠন করেছে এনআইএ। একমাত্র ওই দলের সদস্যদেরই রানার সেলে ঢোকার অনুমতি রয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম পর্বের জেরা শুরু হয়েছে। যে ঘরে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে সেই ঘর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া। ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের জন্য নানা যন্ত্রপাতি রয়েছে। প্রতি দিন কী কী জেরা করা হচ্ছে, কী উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, তা প্রতি দিন লিপিবদ্ধ করা হবে। এনআইএ সূত্রের খবর, প্রথম পর্বের জেরায় রানার ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন সম্পর্কে তথ্য জানার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। তাঁর বেড়ে ওঠা, শিক্ষা, পরিবার, কেরিয়ার, কী ভাবে চিকিৎসক থেকে সন্ত্রাসবাদের জগতে প্রবেশ, সব কিছুই এই পর্বে জানার চেষ্টা হবে।