ননদ খ্যাতনামী। নিজেও একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন চারু আসোপা। রাজস্থানের মেয়ে চারু মুম্বইয়ে গিয়ে নিজের যোগ্যতায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন। বেশ কিছু বছর সেখানে কাজ করে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পর বিয়ে হয় সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেনের সঙ্গে। ২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। সুস্মিতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন তাঁদের। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাজীব-চারুর কলহ চাউর হতে শুরু করে। এরই মধ্যে ২০২১ সালে মেয়ে জিয়ানার জন্ম। তার পরই যেন চরমে ওঠে তাঁদের সংঘাত। রাজীবের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চারু। বছর দুয়েক হল সুস্মিতার ভাইয়ের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। একাকী মা মেয়েকে নিয়ে মুম্বই শহরে খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। শেষে মুম্বই ছেড়ে ফিরে যেতে হল বিকানেরে। মুম্বই ছাড়ার কথা যদিও জানিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বামী রাজীবকে।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি অনলাইনে পোশাক বিক্রি করতে দেখা যায় চারুকে। তার পরই ফের খোঁজ শুরু হয় তাঁর। চারু জানান, মুম্বই শহরে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়, যা জোগাড় করতে নাভিশ্বাস উঠছে তাঁর। সঙ্গে রয়েছে মেয়ে জিয়ানার দায়িত্ব। সুস্মিতার ভাই মাঝেমধ্যে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। কিন্তু মেয়ের দায়িত্ব সবটাই নাকি চারুর কাঁধে। তাই মুম্বই ছেড়ে নিজের শহর বিকানেরে ফিরে আসার সময় রাজীবকে বার্তাও পাঠান। চারু বলেন, ‘‘আমি ভুল কিছু করছি না। আমি চাই না আমার মেয়েকে পরিচারিকার কাছে মানুষ করতে। আমি খুব সচেতন ভাবেই বিকানের ফিরে যাওয়ার এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমি কাজে থাকলে আমার মেয়ে অন্তত তাঁর দাদু-দিদার সঙ্গ পাবে। ফিরে আসার আগে রাজবীকে একটা বার্তা পাঠাই। ও যে কোনও সময় ওঁর মেয়েকে দেখতে বিকানের আসতে পারে।’’
চারু সুস্মিতার ভাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কোনও খোরপোশ নেননি বলেই শোনা যায়। একা মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে এই বিকল্প পেশাই বেছে নিয়েছেন। তিনি ব্যবসা শুরু করেছেন। বাড়ি বসেই ফেসবুকে লাইভ করে পোশাক বিক্রি করেছেন। চারুর এই নয়া উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।